ষ্টাফরিপোর্টার: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে দুবাই ফেরত প্রবাসী মো. মহিন উদ্দিনকে তুলে নিয়ে নির্যাতন ও ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা দাবির অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ মার্চ) নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো.শহীদুল ইসলাম সই করা এক অফিস আদেশে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে ওই অফিস আদেশে প্রশাসনিক কারণে অভিযুক্তদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা (ক্লোজড) করা হয় বলে জানানো হয়েছে।
ক্লোজড হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন-জেলা গোয়েন্দা (ডিবি)শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.শরীফুল ইসলাম খান ও কনস্টেবল মুরাদ হোসেন।
এর আগে,গত ৩ মার্চ জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের করিমপুর এলাকায় নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে। পরে ভুক্তভোগী প্রবাসী নোয়াখালী পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি দুবাই থেকে দেশে ফেরার সময় মহিনকে আরেক প্রবাসী ব্যবসায়ী দুবাই এয়ারপোর্টে কিছু সোনা,একটি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ ঢাকায় পৌঁছে দিতে অনুরোধ করেন। যারা নেবেন তাদের ছবিও দিয়ে দেন ওই ব্যবসায়ী। মহিন ঢাকা এয়ারপোর্টে পৌঁছালে ছবি দেখিয়ে সামগ্রীগুলো তার থেকে নিয়ে যান এক ব্যক্তি। এরপর মহিন বাড়িতে পৌঁছালে দুবাই থেকে ওই প্রবাসী তার জিনিসপত্র পাননি বলে অভিযোগ তোলেন।
গত ৩ মার্চ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (এসআই) শরীফুল ইসলাম প্রবাসী মহিনের বাড়িতে গিয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে মহিনকে তুলে নিয়ে যান। পরে তাকে শারীরিক নির্যাতন করেন এবং আগামী ২০ মার্চের মধ্যে ছয় লাখ টাকা দাবি করেন। অন্যথায় তাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয়। শেষে ২০ হাজার টাকা নগদ দিয়ে ছাড়া পান ওই প্রবাসী।
জেলা পুলিশ অফিস সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত দুইজনকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) বিজয়া সেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, এক প্রবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

- প্রচ্ছদ
- জাতীয়
- নোয়াখালী
-
Featured
-
Featured
-
Featured
-
- লক্ষ্মীপুর
- ফেনী
- প্রবাসে বৃহত্তর নোয়াখালী
- মতামত
- আরও
Select Page