স্টাফ রিপোর্টার: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউপির বানা বাড়িয়া গ্রামে এক শিক্ষক দম্পতীকে পিটিয়ে, ইটের আঘাতে ও কামড় দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা রক্তাক্ত জখম করেছে বখাটে যুবক মেহেদী হাসান ও তার সহযোগীরা। এ সময় বখাটে যুবক গৃহবধুর গায়ের জামা কাপড় ছিড়ে ফেলে তাকে শ্লীতাহানির চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তার আত্মচিৎকারে তার স্বামী শিক্ষক আজিজুর রহমান এগিয়ে আসলে তাকেও বেদম মারধর ও গলা চেপে হত্যার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তাদের আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে বখাটে যুবক পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের দুইজনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেন। এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় ভিকটিম রোজিনা আক্তার বাদী হয়ে সন্ত্রাসী মেহেদী হাসান, সামছুদ্দিন প্রকাশ জাফর ও নাছিমা বেগম সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শনিবার রাতে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে এসআই সাহেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা ফেলেও রহস্যজনক ভাবে আসামীদের গ্রেফতার করেননি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার। এর আগে শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে ।
রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মানিক মেম্বার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বখাটে যুবক মেহেদী হাসান একজন সন্ত্রাসী, চোর ও নেশাগ্রস্থ হন। সে দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় চুরি, মাদক সেবন, স্কুলগামী ছাত্রী ও মহিলাদেরকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। তার চুরি সহ অসামাজিক অপরাধের অভিযোগে একবার তাকে আমি নিজেও শাসন করেছি। সে ভদ্র মহিলাকে মারধর, নির্যাতন করে এং তার স্বামীকেও মারধর করে দুইজনকে হত্যার হুমকি দেয়। তাকে তার পরিবারের লোক উষ্কানি দিয়ে এ সকল ঘটনা ঘটাচ্ছে । রাজগঞ্জ ফাড়ি থানার ইনচার্জ মোঃ সাহেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও আসামী গ্রেফতার ও রহস্যজনক কারণে আইনগত কোন ব্যবস্থা নেননি।বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত মীর জাহেদুল হক রনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি এসআই সাহেদ কে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা ও আসামীদেরকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছি। অভিযোগ রয়েছে ওসির নির্দেশ উপেক্ষা করে আসামীকে ঘটনাস্থল পেলেও রহস্যজনক ভাবে গ্রেফতার করেননি। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় পরিবারটি।