
স্টাফ রিপোর্টারঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ব্যক্তির নাম আবদুল লতিফ মিন্টু (৪৫)। তিনি উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মহব্বতপুর গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে। তিনি গোপালপুর ইউনিয়ন যুবদলের নেতা ছিলেন।
এ ঘটনায় মো. রাসেল ওরফে শিশু রাসেল (২৭) নামের এক যুবলীগ নেতাসহ ৩জনকে আটক করা হযেছে। রাসেল উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদকাশিমপুর গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা।
সোমবার দুপুরে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কোটরা মহব্বতপুর গ্রামে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলে মুমূর্ষু অবস্থায় পুলিশ আবদুল লতিফ মিন্টুকে উদ্ধার করে রাত পৌনে ৯টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
মঙ্গলবার সকালে নিহত লতিফের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, গোপালপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০২২ সালের ৭ জুলাই উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো. হাসিবুল বাশার ওরফে হাসিবকে (২২) কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি ছিলেন নিহত যুবদল নেতা আবদুল লতিফ ওরফে মিন্টু। কিছুদিন আগে জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর নতুন করে যুবলীগ নেতা শিশু রাসেলের সঙ্গে তাঁর বিরোধ হয়।
পূর্বশক্রতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরের দিকে যুবলীগ নেতা রাসেলসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০জন আবদুল লতিফ মিন্টুকে স্থানীয় কবির বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে তুলে নিয়ে যান। তাঁকে কুপিয়ে ও গুলি করে গুরতর আহত অবস্থায় উপজেলার কোটরা মহব্বতপুর গ্রামে ফেলে যান। স্থানীয় চৌকিদার বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় বিকেলে আবদুল লতিফ মিন্টুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহেদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মৃত্যুর আগে ভিডিওতে ধারণ করা নিহত ব্যক্তির কথার ভিডিওতে রাসেল নামের এক সন্দেহভাজনসহ ৩জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। থানায় এ বিষয়ে মামলা হয়েছে।
নিহত আবদুল লতিফ মিন্টু ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল হত্যা মামলার জামিনপ্রাপ্ত ৫ নম্বর আসামি ছিলেন বলে ওসি মীর জাহেদুল হক নিশ্চিত করেন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাখ্যা চন্দ্র দাস বলেন, নিহত আবদুল লতিফ মিন্টু একসময় যুবদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি তেমন সক্রিয় ছিলেন না।
তারিখঃ ১২/০৯/২০২৩ ইং
নোয়াখালী।