লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মেঘনা পাড়ের মাটি ইট তৈরিতে যাচ্ছে ভাটায়। একটি অসাধু চক্র নদীর তীর কেটে জেলার বিভিন্ন ইট ভাটায় মাটি সরবরাহ করছে। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা নিয়ম করে মেঘনা পাড়ের মাটি কাটা হচ্ছে।
এতে নদীভাঙন বেড়ে হুমকির মুখে পড়ছে বিস্তৃর্ণ এলাকা। ক্ষতির মুখে পড়তে পারে নবনির্মিত মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধ। এমন পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়নের নবীগঞ্জ এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় প্রায় অর্ধশত শ্রমিক নদীর তীর ঘেঁষে মাটি কেটে ১০/১২টি ট্রাক্টর ট্রলি বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে। এভাবেই গত কয়েকদিন ধরে অব্যাহতভাবে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কমলনগর ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইটভাটার মালিক দালালদের মাধ্যমে স্থানীয় জমির মালিকদের মাটি বিক্রির জন্য প্রলুব্ধ করছেন। নদী ভাঙনে জমির মাটি ধসে যাবে বলে আতঙ্ক ছড়িয়ে নামমাত্র টাকার বিনিময়ে নদী তীরের মাটি হাতিয়ে নিচ্ছে দালালরা।
এলাকাবাসী জানায়, কমলনগর নদীভাঙন কবলিত এলাকা। এই নদীর তীরের একদিকে চলছে বাঁধের কাজ; অন্যদিকে তীর কেটে মাটি নিচ্ছে ইটভাটায়। এতে করে এলাকা ও তীর রক্ষা বাঁধ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এভাবেই মাটি কেটে হুমকির মুখে ফেলা হচ্ছে বাসিন্দাদেরনাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, নদীর তীর রক্ষা বাঁধের মাত্র দুই কিলোমিটার উত্তর পাশ থেকে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। যে কারণে শুষ্ক মৌসুমেও নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় চর কালকিনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফ উল্লাহ জানান, ইচ্ছে করে কেউ মাটি কেটে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করতে পারে না। কেউ যাতে নদীর তীর থেকে মাটি কাটতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা তৎপর থাকব।
কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, মাটি কেটে নেওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করেছে। জমির মালিক ও ইটভাটার মালিককে থানায় আসতে বলা হয়েছে।