নোয়াখালী বার্তা রিপোর্ট: চলতি বছরের মতো পেঁয়াজের ঝাঁজে ক্রেতাদের নাজেহাল হতে হয়নি কখনও। দেশি-আমদানি করা উভয়ের দামই এখনও আকাশ ছোঁয়া। বাজারে নতুন পেঁয়াজের দেখা মিললেও সেই অর্থে কমছে না দাম। ওঠা-নামা করছে ৭০-৮০ টাকার মধ্যে। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দামও রয়েছে সমান তালে। চালের দরও নাগালে আসছে না কিছুতেই। বাড়তি সব ধরনের চালের দাম।
বছরের শেষ মাসের শেষ সপ্তাহে এসে দেশি পেঁয়াজের দাম অল্প অল্প করে কমতে থাকলেও দাম কমার লক্ষণ নেই আমদানি করা পেঁয়াজের।
বাজারে নতুন দেশি পেঁয়াজের চালান আসায় ১৪০ টাকা থেকে দাম কমে এখন কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। আর সবশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
আজ শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য জানা যায়।
আমদানি করা পেঁয়াজের দাম নিয়ে বিক্রেতারা বলছেন, দেশি পেঁয়াজের দাম এখনো স্বাভাবিক নয়। ফলে আমদানি করা পেঁয়াজের ওপর চাপ বেশি। এছাড়া ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ অনেক বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয় বলে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
শীতের টাটকা সবজি
খুচরা বিক্রেতা লিপন বলেন, দেশি পেঁয়াজের দামের বিষয়টি জেনে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু এখন দেশি পেঁয়াজের দাম কমলেও দাম কমাচ্ছেন না তারা।
একই বাজারের আরেক খুচরা ব্যবসায়ী সফর মিয়া বলেন, দেশি পেঁয়াজের দাম যতদিন পর্যন্ত স্বাভাবিক না হবে ততদিন পর্যন্ত আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমবে না। দেশি পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হলেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা তখন কম দামে আমদানি করা পেঁয়াজ ছাড়বেন।
এদিকে বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে সব সবজির। সবজি বাজারের স্বস্তি ক্রেতাদের জন্য খুশির খবর বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
সবশেষ সবজির খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিকেজি বেগুন ৩০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, সিম ২৫ টাকা, মূলা ১৫ টাকা, ধনিয়াপাতা ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, দেশি টমেটো ৬০ টাকা ও আমদানি করা টমেটো ৮০ টাকা, দেশি কাঁচা টমেটো ৩০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা,