নোয়াাখালী বার্তা রিপোর্ট: পৌষের শেষ সপ্তাহে রাজশাহীতে হামলে পড়েছে শীত। সাতসকালে ঘন কুয়াশার চাদর ভেদ করে পূর্বাকাশে সূর্য উঁকি দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু তার কিরণ শীতার্ত মানুষের শরীরে আজ উষ্ণতার পরশ ছড়াতে পারেনি। তাই হিমালয় ছুঁয়ে আসা কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস কাঁপিয়ে তুলছে পদ্মাপাড়ের ছিন্নমূল মানুষগুলোকে। শীতবস্ত্রের অভাবে অনেক মানুষ এখন দুর্বিষহ দিন পার করছেন।
হঠাৎ করে শীত বাড়ায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই ভর্তি হচ্ছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। বিশেষ করে নবজাতক ও বৃদ্ধরা ঠাণ্ডাজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বেশ কয়েক দিন ধরেই রাত-দিনের তাপমাত্রা ওঠা-নামা করছিলো। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে হঠাৎ করেই দিনের তাপমাত্রা কমে আসতে শুরু করেছে। তবে রাজশাহী আবহাওয়া অফিস বলছে, রাজশাহীতে তাপমাত্রা কমতে শুরু করলেও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়নি। কিন্তু জানুয়ারি মাসের প্রথম দশকেই এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২৯ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহীতে তাপমাত্রা কমছে। ওই দিন রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর পর আবার ০২ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বুধবার সেই তাপমাত্রা নেমে এসেছে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত আবহাওয়া কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, তাপমাত্রা কমেছে, কিন্তু এখনও রাজশাহীতে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়নি। সাধারণত ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। বুধবার বিভাগের নওগাঁ জেলার বদলগাছিতে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ এসব অঞ্চলে এরই মধ্যে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়ে গেছে। আগামী সপ্তাহে রাজশাহীর ওপর দিয়েও দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে আশরাফুল আলম বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজশাহীসহ গোটা উত্তরাঞ্চলেরও ওপর দিয়ে দুই-তিনটি মৃদু অথবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলে