স্টাফ রিপোর্টার: কাতারের রাজ পরিবারের এক সদস্য অভিযোগ করেছেন, মাস খানেক ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বন্দি করে রাখা হয়েছে। যা তার কাছে আত্মহত্যার শামিল। কেবলমাত্র সৌদি আরব ও ইউএই’তে থাকা কাতারের সম্পদ কব্জা করার জন্যই তাকে বন্দি করা হয়েছে।
শেখ আবদুল্লাহ বিন আলী আল থানি নামে ওই কাতারি ধনকুবের মূলত সৌদি আরবে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে তার দেশের বিরোধের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মধ্যস্থতায় এবার হজে যেতে পেরেছেন কাতারিরা।
‘সন্ত্রাসবাদে মদদের’ অভিযোগ তুলে গত বছরের জুনে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে উপসাগরীয় চার দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর। সৌদি আরবের নেতৃত্বে তারা দেশটির ওপর স্থল, সমুদ্র আর আকাশ অবরোধ আরোপ করে।
সে সময় সৌদি জোটের ওই উদ্যোগকে সমর্থন করে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে কাতারের বিরুদ্ধে কথা বলতেন দেশটির রাজ পরিবারের ঘনিষ্ট শেখ আবদুল্লাহ বিন আলী আল থানি। তিনি তখন থেকেই সৌদি আরবে বসবাস করে আসছিলেন। সে সময় কাতার সরকারের মূল সমালোচক হিসেবেও তাকে উল্লেখ করা হতো। যদিও এবার তিনি অন্য সুরে কথা বলছেন।
কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার কাছে থাকা এক অডিও টেপ’র (১৫ জানুয়ারি ধারণকৃত) বক্তব্য অনুযায়ী উপসাগরীয় অঞ্চলে এ নিয়ে নতুন সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ওই অডিও রেকর্ডিংয়ে শেখ আবদুল্লাহ বিন আল থানি বলেন, আমাকে আটকে রাখা হয়েছে এবং জানে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
“উপসাগরীয়” সংকট দীর্ঘায়িত করে স্বার্থ সিদ্ধি করতে এবং উপসাগরীয় দেশগুলোতে থাকা কাতারের ধনসম্পদ দখলে নিতে আবুধাবির সুলতান মোহাম্মেদ বিন জায়েদ এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের পরিকল্পনা অনুযায়ী আবুধাবি ও সৌদি রাষ্ট্রদূতদের সাহায্যেই তাকে বন্দি রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কাতারের এ প্রভাবশালী শেখ।
উপসাগরীয় বিভিন্ন দেশে থাকা কাতারিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আমার দেশের সব নাগরিককে সতর্ক করছি, আপানারা দেশের পক্ষ ত্যাগ করবেন না। আপনারা দেশের পক্ষে অবস্থান নিন। তাদের (সৌদি আরব ও তার উপসাগরীয় মিত্র) থেকে সতর্ক থাকুন।