Select Page

আজ রবিবার, ২৬শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ৩রা রমজান, ১৪৪৪ হিজরি সময়: ভোর ৫:০০

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হতে আরও সময় লাগবে

দৈনিক নোয়াখালীবার্তা
Noakhali Barta is A News Portal of Noakhali.

জানু ২২, ২০১৮ | আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন শরণার্থী প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম।

তার এ কথা তুলে ধরে আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সোমবার ২২ জানুয়ারি সংবাদ প্রকাশ করেছে। ঢাকা-নেপিদো সমঝোতা অনুযায়ী, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় মঙ্গলবার ২৩ জানুয়ারি জনগোষ্ঠীটির প্রথম দলকে রাখাইনে ফেরত পাঠানোর কথা ছিল।

এ বিষয়ে নেপিদো কর্তৃপক্ষ বলেছিল, বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প করে ফেরত আসা রোহিঙ্গাদের রাখা হবে। কিন্তু ঠিক একদিন আগে প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার কালাম বলছেন, এই প্রক্রিয়া শুরু হতে বিলম্ব হবে। তবে কবে নাগাদ শুরু হতে পারে, সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানাননি।

আবুল কালাম বলেন, এখনও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তালিকা তৈরি হয়নি। তাদের অনেকে যাচাই তালিকার বাইরে রয়ে গেছেন। তাছাড়া তারা ফেরত গিয়ে যেসব অস্থায়ী ক্যম্পে থাকবেন, সেসবও এখনো প্রস্তুত হয়নি।

আবুল কালামের এ কথার আগে অবশ্য রোববারই ২১ জানুয়ারি কূটনীতিকদের ব্রিফিংকালে এমন ইঙ্গিত দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি পশ্চিমা ও ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত-হাইকমিশনারদের ব্রিফিং শেষে বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন মঙ্গলবার থেকেই শুরু হবে কি-না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে দুই দেশের সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ড অবস্থানরতদের প্রথম দফায় ফেরত পাঠানো হবে।

ঢাকার নেতৃত্ব এমন কথা বললেও মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কো কো নাইং। তবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিলম্বের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানাননি।

গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গা-বিরোধী দমন-পীড়ন শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এ অভিযানের মুখে জীবন বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের পথে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। দুই দেশের সীমান্তবর্তী জায়গায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা আটকা পড়ে। পরে সুযোগ বুঝে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

বিভিন্ন সংস্থার জরিপ মতে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে।

সেনাবাহিনীর ওই অভিযান এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে শরণার্থীদের ফেরত নিতে সম্মত হয় মিয়ানমার। রোহিঙ্গাদের ফেরার পথ তৈরি করতে গত বছরের ২৩ সেখানে বলাহয়, প্রথম দফায় শুধু এবার আসা শরণার্থীদেরই ফেরত নেবে মিয়ানমার। ওই সম্মতিপত্র স্বাক্ষরের তিন সপ্তাহের মধ্যে ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠন করে দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার কথা। একইসঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব একটি সুনির্দিষ্ট চুক্তিতে সই করা কথা প্রতিবেশী দুই দেশের।

গত ১৯ ডিসেম্বর ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠন করা হলেও ১৬ জানুয়ারি নেপিদো শহরে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২৩ জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে।

চুক্তি অনুযায়ী, প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সম্মত হওয়ার পর থেকে দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে দেড় হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নেওয়ার কথা মিয়ানমারের।

Facebook Comments Box

সর্বশেষ সংবাদ

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১