স্টাফ রিপোটার: মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে ইন্দোনেশিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
শনিবার ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে সফররত ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো’র সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।
দু’দিনের সফরে শনিবার বিকেলে ঢাকায় আসেন উইদোদো। সফরে ইন্দোনেশিয়ার ফার্স্ট লেডি ইরিয়ানা জোকো উইদোদোও রয়েছেন।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
সন্ধ্যায় ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তার স্ত্রী রাশিদা খানম তাদের অভ্যর্থনা জানান। পরে দুই প্রেসিডেন্ট বৈঠকে বসেন।
বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা আশ্রয় দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। মানবিক দিক বিবেচনায় অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশ এ কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি বড় সমস্যা।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের মিয়ানমারের রাখাইনে সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে ইন্দোনেশিয়ার সহযোগিতা চান আবদুল হামিদ।
মানবিক সহায়তা ও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘে ভূমিকার জন্য ইন্দোনেশিয়ার প্রশংসা করেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবসনে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি ফলপ্রসু হবে এবং মিয়ানমারের এসব নাগরিক সম্মানের সঙ্গে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন জোকো উইদোদো।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসাও করেন তিনি।
দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পকের কথা উল্লেখ করেন জোকো উইদোদোর এ সফরের মাধ্যমে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হবে বলে আশা করেন আবদুল হামিদ।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।
পরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেন ইন্দোনেশীয় প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিয়াসহ মন্ত্রিসভার সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, সরকারের ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামারিক কর্মকর্তারা নৈশভোজে অংশ নেন।