স্টাফ রিপোটার: লক্ষ্মীপুরে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত সাংবাদিক শাহ মনির পলাশের (২৮) মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার সকালে সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামে পলাশের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়।
এদিকে মৃত্যুর খবরে সকালে উত্তেজিত এলাকাবাসী ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। এ সময় বিক্ষোভ করে খুনিদের বিচারের দাবি জানানো হয়। খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন।
নিহত পলাশ দৈনিক রুপবানী পত্রিকার লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ও লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের স্নাতক (বিএ) ফলপ্রত্যাশী। তিনি পার্বতীনগর ইউনিয়নের মাছিমনগর গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সকাল ৯টার দিকে সাংবাদিক পলাশদের বাগানের গাছ কেটে নেয়ার চেষ্টা করে তার দুই জেঠাতো ভাই আবু ইউছুফ ও আবু ছায়েদ। বাধা দিলে পলাশের বাবাকে তারা ইট নিক্ষেপ করে।
এতে তার বৃদ্ধ বাবা আহত হয়ে মাটিতে লুটে পড়ে। এ সময় তাকে উদ্ধার করতে গেলে ওই দুই জেঠাতো ভাই পলাশকে রড দিয়ে মাথায় ও বুকে আঘাত করে। এতে মাথা পেটে তাৎক্ষণিক পলাশ অচেতন হয়ে পড়ে। ভাইকে বাঁচাতে গেলে বোন নাছিমা আক্তার বেগমকে মারধর করে গলায় স্বর্ণের হার ছিনিয়ে নেয় তারা।
খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন এসে পলাশকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাকে নোয়াখালী হাসপাতালে পাঠায়। অবস্থার অবনতিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অভিযুক্ত আবু ইউছুফ ও আবু ছায়েদ নাছিমনগর গ্রামের হাজী আক্তারুজ্জামানের ছেলে। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে মাছিমনগর গ্রাম থেকে আবু ইউছুফের স্ত্রী ফয়েজুন নেছাকে আটক করেছে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে পলাশকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতের আটকের চেষ্টা চলছে।