Select Page

আজ সোমবার, ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি সময়: রাত ১০:৪২

চালের পর তেল রসুনের দাম ওদিক

দৈনিক নোয়াখালীবার্তা
Noakhali Barta is A News Portal of Noakhali.

ফেব্রু ১৬, ২০১৮ | জাতীয়, বিশেষ প্রতিবেদন

স্টাফ রিপোটার: রাজধানীর পাইকারি বাজারে গত সপ্তাহের শুরুতে চালের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। মুদি দোকানে গিয়ে সাধারণ মানুষকে এখন কেজিপ্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বাড়তি দিয়ে চাল কিনতে হচ্ছে। ভোজ্যতেল ও রসুনের দামও নতুন করে কিছুটা বেড়েছে। অবশ্য সবজির দাম আগের তুলনায় এখন কম।

রাজধানীর বাজারে এখন ভারতীয় মোটা চাল কেজিপ্রতি ৪৪ ও দেশি মোটা চাল ৪৫-৪৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের ভারতীয় চালের দর কেজিপ্রতি ৪৬-৪৮ টাকা। আর দেশি মাঝারি মানের চালের কেজি ৫২-৫৪ টাকা। বিক্রেতারা দেশি সরু মিনিকেট চালের কেজিপ্রতি দর মানভেদে ৬০-৬৩ টাকা ও ভারতীয় মিনিকেট ৫৮ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

পশ্চিম আগারগাঁও কাঁচাবাজারের মুদি দোকানি আনোয়ার হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, ভারতীয় মোটা চাল কেনা পড়ছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা দরে। এর সঙ্গে পরিবহন ও অন্যান্য খরচ যোগ করে ৪৪ টাকার কমে বিক্রি করা যায় না। তিনি বলেন, কয়েক দিনে সব ধরনের চালের দামই বেড়েছে।

ওই ব্যবসায়ী আরও জানান, গেল সপ্তাহে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দামও লিটারে ২ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া রসুনের দর বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। তাঁর দোকানে প্রতি কেজি চীনা রসুন ১০০ ও দেশি রসুন ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।

বোতলজাত সয়াবিন তেলে খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য কোম্পানিগুলোর যে ছাড় ছিল, তা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানান কারওয়ান বাজারের বিক্রেতারা। একটি কোম্পানি প্রতি পাঁচ লিটারের বোতলের ১২টি কিনলে একটি এক লিটার তেল বিনা মূল্যে দিত। তাও দিচ্ছে না। সব মিলিয়ে প্রতি লিটার তেলে এখন বাড়তি ২ টাকা দিতে হচ্ছে খুচরা ব্যবসায়ীদের। অবশ্য মোড়কের লেখা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বাড়ায়নি কোম্পানিগুলো।

একটি ব্র্যান্ডের তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের মোড়কে লেখা সর্বোচ্চ দর ৫৪০ টাকা, যা এত দিন ৫২০ টাকায় বিক্রি করতেন কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা। এখন ৫৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা তেলের দামও প্রতি লিটার ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে। ওই বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ৮২ টাকা, পাম সুপার ৭৮ টাকা ও পাম তেল ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আবুল হাশেম বলেন, সরবরাহ কম থাকায় সয়াবিন তেলের দাম মণপ্রতি (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) ৫০ টাকার মতো বেড়েছিল, এখন তা আবার কমছে।

বাজারে এখন আলু সবচেয়ে সস্তা। প্রতি কেজি আলু ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। টমেটোও একই দামে কিনতে পারছেন ক্রেতারা। সব মিলিয়ে সবজির দর কম। বেশির ভাগ সবজি প্রতি কেজি ২৫-৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে ৪৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা ও দেশি বড় পেঁয়াজ ৫৫ ও ছোট পেঁয়াজ ৪৫ টাকা চাচ্ছেন বিক্রেতারা।
জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজের দাম এর চেয়ে কমার সুযোগ নেই। ভারতে দর বেশি।

Facebook Comments Box

সর্বশেষ সংবাদ

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০