Select Page

আজ বৃহস্পতিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি সময়: দুপুর ২:৩০

বিডিআর মামলায় রায় পেলে দু’পক্ষই আপিল করবে

দৈনিক নোয়াখালীবার্তা
Noakhali Barta is A News Portal of Noakhali.

ফেব্রু ২৪, ২০১৮ | জাতীয়

পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দফতরে হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ। প্রায় তিন মাস আগে দেওয়া এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি দ্রুতই প্রকাশ পাবে বলে আশা করছেন তারা। রায়ের অনুলিপি পেলে দ্রুতই আপিল করবে উভয় পক্ষ।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিডিআর সদর দফতরে ৫৭ জন সেনা সদস্যসহ ৭৪ জনকে হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জন বিডিআর সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ের ডেথ রেফারেন্স এবং আপিলের ওপর হাইকোর্ট গত নভেম্বরের ২৬ ও ২৭ তারিখে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। এর মধ্যে ১ জন মারা গেছেন। বাকি ১২ জনের মধ্যে ৮ জনের সর্বোচ্চ সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও অন্য চারজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

২৪ ফেব্রুয়ারি রায়ের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল বলেন, আশা করছি দ্রুতই হাইকোর্টের রায় প্রকাশ পাবে। রায় পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে খালাসপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আপিল করা হবে।

অপরদিকে আসামিপক্ষের একজন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, রায়ের জন্য অপেক্ষায় আছি। কত দিনের মধ্যে পাবো সেটা জানি না। আমরা আপিল এবং লিভ টু আপিল করার জন্য কাজ গুছিয়ে রাখছি। রায় পেলে পর্যালোচনা করে আপিল করা হবে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৫২ জনের বিষয় ছাড়াও হাইকোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রেখেছেন। বাকি ১৪ জনের মধ্যে দু’জন আগেই মারা গেছেন। আর অন্য ১২ জন খালাস পেয়েছেন।

খালাসপ্রাপ্ত ৬৯জনের সাজা চেয়ে ফৌজদারি আপিল করেছিলেন রাষ্ট্রপক্ষ। তাদের মধ্যে ৩১ জনকে যাবজ্জীবন ও চারজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর অন্য ৩৪ জনের খালাসের রায় বহাল রয়েছে। সব মিলিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন ১৮৫ জন।

এদিকে বিচারিক আদালত ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। বাকি ২৫৩ জনের মধ্যে ১৮২ জনকে ১০ বছর করে, দু’জনকে ১৩ বছর করে, ৮ জনকে সাত বছর করে এবং চারজনকে ৩ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকীদের মধ্য থেকে খালাস পেয়েছেন ২৯ জন। অবশ্য ২৮ জন আপিলই করেননি।

হাইকোর্টে রায়দানকারী বিচারকরা হলেন বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।

এদিকে হাইকোর্টের রায়ে খালাস পাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলী মুক্তি পাওয়ার আগেই অসুস্থ হয়ে ৫ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

Facebook Comments Box

সর্বশেষ সংবাদ

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০