নোয়াখালী বার্তা ডেস্ক: নয় বছর আগে পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনায় নিহত সেনা সদস্যদের স্মরণে বনানী কবরাস্থানে নির্মিত স্মৃতি স্তম্ভে রোববার সকালে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনা প্রধান মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “এ দিনটি জাতির জন্য ট্র্যাজেডি । বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় গেলে ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ সেনা দিবস হিসেবে পালনের ব্যবস্থা নেবে। ”
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেবরুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। দুই দিনের রক্তাক্ত বিদ্রোহে সব মিলিয়ে প্রাণ যায় মোট ৭৪ জনের।
সেই ঘটনার বার্ষিকীতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সকালে বনানীর সেনা কবরাস্থানে গিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
প্রতিনিধিদলটি দলের সদস্যরা বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর কিছু সময় নীরবতা পালন করেন।
পরে মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ছিলো দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ। ওই হত্যাযজ্ঞের পূর্ণাঙ্গ বিচার আজও হয়নি। বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচার এখনও ঝুলে আছে।”
পিলখানার ঘটনায় বিজিবির নিজস্ব আইনে বিদ্রোহের বিচার ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আর পুলিশের দায়ের করা দুটি মামলার মধ্যে হত্যা মামলায় হাই কোর্টের রায় এসেছে । জজ আদালতে এখনও বিস্ফোরক মামলার বিচার শেষ হয়নি।
হত্যা মামলায় গতবছর হাই কোর্টের দেওয়া রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখা হয়েছে। এছাড়া ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তিন থেকে দশ বছরের সাজা হয়েছে ২২৮ জনের।
বিএনপির প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, অবসরপ্রাপ্ত বিমান বাহিনী প্রধান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে ইলাহী আকবর, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ইসহাক, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মনিষ দেওয়ান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মিজানুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সারোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।