নোয়াখালী বার্তা ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজা শেষে মরহুমের কফিনে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সোমবার বেলা ১২টার পর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজায় অংশ নেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা, হুইপবৃন্দ, সংসদ সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অসংখ্য গুণগ্রাহী।
জানাজা শেষে ঝন্টুর মরদেহে শেষ শদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের শীর্ষ নেতারা, ডেপুটি স্পিকার, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ ইকবালুর রহিম ও আতিউর রহমান আতিক, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের পক্ষে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা ও বিরোধী দলীয় হুইপ নূরুল ইসলাম ওমর। ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এ সময় মরহুম সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টুকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এর আগে রাজনৈতিক সহকর্মী ও পরিবারের পক্ষ থেকে তার কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।
পরে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিনসহ মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সর্বস্তরের মানুষ তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করেন।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র এবং ১৯৯৬ সালে রংপুর-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু রোববার বেলা সাড়ে ৩টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তিনি স্ত্রী, একমাত্র ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।