আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর কোরিয়া জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পালন করছে কিনা তার তদারকিতে থাকা জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের প্যানেলের তৈরি করা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন গণমাধ্যম, খবর বিবিসির।
জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনটি এখনও প্রকাশ করা না হলেও তা ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া বেআইনিভাবে সিরিয়ায় উচ্চ-তাপসহ, এসিড প্রতিরোধী টাইলস, ক্ষয়প্রতিরোধী ভালভ ও থার্মোমিটার পাঠিয়েছে।
সিরিয়ার সরকারি বাহিনীগুলো ক্লোরিন গ্যাস ব্যবহার করেছে এমন অভিযোগ ওঠার পর এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করলো মার্কিন গণমাধ্যম।
অপরদিকে ক্লোরিন গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিরিয়া সরকার; আর নিজেদের পারমাণবিক কর্মসূচী নিয়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আছে উত্তর কোরিয়া।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনের বরাতে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের সিরিয়ার অস্ত্র তৈরির কারখানাগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
টাইলসগুলো রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির কারখানা নির্মাণে ব্যবহৃত হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, ২০১৬ সালের শেষ দিক থেকে ২০১৭ সালের প্রথমদিকে একটি চীনা ট্রেডিং ফার্মের মাধ্যমে পাঁচটি চালান সিরিয়ায় পাঠানো হয়েছে। এগুলো কয়েক বছর ধরে পাঠানো বহু চালানের একটি অংশ বলে অভিযোগ করেছে জার্নালটি।
সিরিয়ার সরকারি সংস্থা দ্য সায়েন্টিফিক স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ সেন্টার (এসএসআরসি) কয়েকটি ‘ফ্রন্ট’ কোম্পানির মাধ্যমে এসব চালানের মূল্য পরিশোধ করেছে বলে দাবি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের।
ওয়াশিংটন পোস্টও জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনটি দেখেছে বলে জানিয়েছে।
ফাঁস হওয়া ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হবে কিনা তা পরিষ্কার করেননি জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক; কিন্তু নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, “আমার ধারণায় সাধারণ বার্তাটি হচ্ছে, যে সব নিষেধাজ্ঞা আরোপিত আছে সকল সদস্য দেশের দায়িত্ব তা মেনে চলা।”
জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়া সরকার জাতিসংঘ প্যানেলকে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার স্পোর্টস কোচ ও ক্রীড়াবিদরাই শুধু সিরিয়ায় আছেন।
গৌতায় সারিন গ্যাস হামলায় কয়েকশত লোক নিহত হওয়ার পর ২০১৩ সালে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনে স্বাক্ষর করে সিরিয়া নিজেদের সব রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ ধ্বংস করার ঘোষণা দেয়।
তারপরও গৃহযুদ্ধে দামেস্ক বারবার নিষিদ্ধ ঘোষিত রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।