আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে আরও একটি রাত কাটালো ইউরোপবাসীর। সাইবেরিয়ান বা আর্টিক বায়ুর প্রভাবে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তীব্র শীতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
তীব্র তুষারপাতে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রেল যোগাযোগ। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে হাজারও ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। বিভিন্ন দেশে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে গত সোমবার জার্মানির দুটি বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।এ অবস্থায় বিভিন্ন দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
তীব্র শীতে মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই গৃহহীন ও শরণার্থী ছিলেন। বয়স্ক ও শিশুরা ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
তুষারে ঢাকা পড়েছে বিমানবন্দর আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এই বছরের শীতে প্রথমবারের মতো রেকর্ড পরিমাণ ঠাণ্ডা পড়েছে।
ব্রিটেনে আবহাওয়ার এ অবস্থাকে ‘দ্য বিস্ট ফ্রম দ্যা ইস্ট’ নামে অভিহিত করেছেন আবহাওয়াবিদরা। ডাচরা এ অবস্থাকে ‘সাইবেরিয়ান বিয়ার’ ও সুইডিসরা একে ‘তুয়ার তীর’ বলে অভিহিত করেছেন।
সংগৃহীত ছবিএমন আবহাওয়ায় ঘরের বাইরে ঘোরাফেরা না করতে অনুরোধ করেছে কর্তৃপক্ষ। ব্রিটেনে যাত্রীদের সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বাড়ি ফিরতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ৩ হাজার গৃহহীনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, ইউরোপের কিছু অংশে কয়েকদিনের মধ্যে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।