Select Page

আজ বৃহস্পতিবার, ৩০শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ৭ই রমজান, ১৪৪৪ হিজরি সময়: রাত ১:০৬

মাত্র ৭ লাখ টাকা হলেই চিকিৎসা শুরু হবে ত্বকির

দৈনিক নোয়াখালীবার্তা
Noakhali Barta is A News Portal of Noakhali.

মার্চ ৪, ২০১৮ | জাতীয়

নোয়াখালী বার্তা ডেস্ক: চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি তিন বছর বয়সী শিশু মাওসুফুল হক ত্বকিকে নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর হৃদয়বানদের কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা সহযোগিতা পাওয়া গেছে। এর আগে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে তার বাবা সংগ্রহ করেছিল আরও ৫ লাখ টাকা। এ নিয়ে ১৭ লাখ টাকার মধ্যে সব মিলে ১০ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছেন ত্বকির বাবা হামিদুল হক আজিম। আর মাত্র প্রয়োজন ৭ লাখ টাকা।

ত্বকিকে বিশ্বের বৃহত্তম হৃদরোগ হাসপাতাল ‘নারায়না ইন্সটিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়িন্সেস’ ব্যাঙ্গালুরেু নেয়ার সময় ঘনিয়ে এলেও পুরো টাকা জোগার না হওয়ায় ছেলেকে নিয়ে যেতে পারছেন না তার বাবা।

এর আগে ২০১৫ সালে ত্বকিকে একই হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা জানায়, তার বয়স ৩ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের অপারেশন করা সম্ভব নয়। তবে ৩ বছর পর অপারেশন করা জরুরি। এজন্য সব মিলে বাংলাদেশি ১৭ লাখ টাকা (যাওয়া-আসা, থাকা-খাওয়াসহ) খরচ হবে বলে জানিয়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ত্বকির বাবা হামিদুল হক জানান, আগামী এপ্রিলে ত্বকিকে ব্যাঙ্গালুরেু নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। জানি না, এ সময়ের মধ্যে বাকি টাকাকা জোগার হবে কীনা? বিক্রি করার মতো আমার কোনো সম্পত্তি নেই। তাই ভরসা এখন হৃদয়বানদের উপর। জানি না, ছেলেটাকে বাঁচাতে পারবো কীনা? বিয়ের ১০ বছর পর আল্লাহ আমাকে ত্বকিকে দিয়েছে। তাকে পৃথিবীর আলো দেখাতেও প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করেছি। তখন আমার আয়-রোজগার ভালো ছিল। তাই ত্বকি জন্মের পর থেকেই তাকে নিয়ে বহু স্বপ্ন দেখেছি। কিন্তু সেই স্বপ্ন আমার ভেঙে গেছে ত্বকির এক বছর বয়স থেকেই। তাকে বাঁচানোর যুদ্ধে ইতোমধ্যে প্রায় ১৫ লাখ টাকা খরচ করেছি। আর পারছি না। এ পর্যন্ত যা সম্পদ করেছিলাম সব আমার শেষ হয়ে গেছে ছেলেটার চিকিৎসার পেছনে। ‘একমাত্র ছেলের কিছু হয়ে গেলে পাগল হয়ে যাবো আমি’ বললেন এই বাবা।

তিনি বলেন, হঠাৎ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে ত্বকি। তখনই আবার হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাকে। সেই টাকাটাও জোগার করতে হিমশিম খেয়ে যাই। একদিকে সংসার, অন্যদিকে অসুস্থ সন্তান। কোনোটাই ভালোভাবে করতে পারছি না।

জন্ম থেকেই ত্বকির হৃৎপিণ্ড ছিদ্র। ভালভ দুটিও নষ্ট হয়ে গেছে তার। রাজধানীর মতিঝিলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, আদ-দ্বীন হাসপাতাল ও জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে চিকিৎসা নেয়ার পরও কোনো লাভ হয়নি। বর্তমানে ভারতের ‘নারায়না ইন্সটিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়িন্সেস’ হাসপাতালের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছে ত্বকি।

রাজধানীর আরামবাগে একটি প্রেসে চাকরি করেন ত্বকির বাবা হামিদুল হক আজিম। সামান্য এই চাকরি দিয়ে সংসার চালাতেই বিপাকে পড়তে হয় তাকে। সেখানে ছেলের চিকিৎসা করানো অসাধ্য হয়ে উঠেছে এই বাবার। সম্ভব হলে আসুন ত্বকিকে আর মাত্র ৭ লাখ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করি। সবাই মিলে উদ্যোগ নিলে সম্ভব তাকে সুস্থ করে তোলা।

Facebook Comments Box

সর্বশেষ সংবাদ

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১