মোহাম্মদ সোহেল:
রাত তখন পৌনে এগারোটা, হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে দেখা মিললো আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহি উদ্দিন আবদুল আজিমের। খোঁজখবর নিচ্ছেন রোগীদের। দেখলেন হাসপাতালের টয়লেট, ফ্লোর পরিস্কার আছে কি না। আবার হাসপাতালে দালালদের প্রবেশ ঠেকাতেও সতর্ক তিনি।
সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে রোগীদের খোঁজখবর নেন আরএমও আজিম। এসময় কয়েকটি টয়লেট অপরিস্কার দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে তা নিজের হাতেই পরিস্কার করেন তিনি।
মাত্র কয়েক মাসের মাথায় তার আন্তরিকতায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চিত্র বদলে গেছে।
গত ১৬ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ছিলো জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ। ওই সপ্তাহ জুড়েই নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আজিমের নেতৃত্বে চলে পরিস্কার-পরিচন্নতা কর্মসূচি।
স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহের কর্মসূচির অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী হাসপাতালে পরিবেশ পরিপাটি দেখে তত্বাবধায়ক ও আরএমও সহ হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগী মো.নুর হোসেন বলেল, এখানে ডাক্তার-নার্স সব সময় তিনি সহ অন্যান্য রোগীদের দেখাশুনা করেন। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেন। তার পরও আরএমও দিনের বেলায় একবার এবং রাতের বেলায় ওয়ার্ডে এসে রোগীরা সঠিকভাবে ওষুধপত্র পাচ্ছেন কি না, ডাক্তার-নার্স সময়মত তদারকি করছেন কি না এবং টয়লেট-ফ্লোর পরিস্কার ও পানি আছে কি না এসব খোঁজখবর নেন।
হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো.বেলাল হোসেন সোহেল বলেন আরএমও সৈয়দ মহি উদ্দিন আবদুল আজিম স্যার যোগদানের পর হাসপাতালের পরিবেশ আগের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। হাসপাতালে দালালদের প্রবেশ ঠেকাতেও সতর্ক রয়েছেন তিনি ।
আরএমও সৈয়দ মহি উদ্দিন আবদুল আজিম বলেন আমি কাজকে ভালোবাসি। আমার কর্মস্থলের পরিবেশ ভালো রাখাটা আমার নৈতিক দায়িত্ব। হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা.খলিল উল্যাহ’র নির্দেশে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ডাক্তার-নার্সদের সহযোগিতায় এই হাসপাতালকে রোগীদের উত্তম সেবার জায়গায় পরিনত করতে কাজ করছেন তিনি।
নো/বা/এমএস/বি