মোহাম্মদ সোহেল :
নোয়াখালীর সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নে তার্কি মুরগির খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন মো: আবদুল বাকের মাসুদ নামের এক উদ্যোমী যুবক। যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষনের মাত্র ৬২০ টাকা ভাতার অর্থ দিয়ে ১২টি মুরগি ক্রয় করে শুরু করেন খামার। বর্তমানে তার্কি, তিথি সহ তার খামারে ১২হাজার মুরগি রয়েছে। তার খামার দেখে অনেক বেকার যুবক এই খামার করে লাভের মূখ দেখছেন।
নোয়াখালীর শহরতলীর এ ইউনিয়নের এক উদ্যোমী যুবক মাসুদ। একাউনটিং এ মাস্টার্স পাশ করে চাকুরীর জন্যে করো কাছে ধরনা না দিয়ে ১৯৯৪ সালে ফেনীতে পোলট্রি খামারের উপর যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষন নেন। প্রশিক্ষন ভাতার ৬২০ টাকা দিয়ে ১২টি মুরগির বাচ্চা ক্রয় করে তিনি প্রথম ব্যবসায়ীক ভাবে মুরগী খামার শুরু করেন। তার্কি, তিথি সহ তার খামারে বর্তমানে ১২হাজার মুরগি রয়েছে। দীর্ঘ ২৩ বছরের ব্যবধানে বর্তমানে সে স্বাবলম্বী এবং তার পুঁজিও (মূলধন) অনেক বেড়েছে।
খামার মালিক আবদুল বাকের মাসুদ জানান, সাধারণ মুরগির চেয়ে তার্কি মুরগী উৎপাদন খরচ খুবই কম এবং এ মুরগীর বাজার মূল্যও অনেক বেশী। এক জোড়া তার্কি মুরগির বাচ্চা ক্রয় করে ৩ হাজার ৫শত টাকায় আর বড় মুরগী প্রতি জোড়া ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকায় তিনি বিক্রি করে থাকেন। তাই সাধারণ মুরগির চেয়ে তার্কি মুরগি পালনে বেশি নজর দিচ্ছেন বলেও জানান মাসুদ। এই খামার থেকে সকল খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে মাসুদ আয় করেন ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা।
তিনি আরো জানান, তার মা ও বড় বোন তাকে এই কাজে সবচেয়ে বেশী সহযোগীতা করেন। এছাড়া কয়েকজন কর্মচারী খামারে কাজ করে তাদের সংসার চালাচ্ছে। তার সফলতা ও খামার দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক খামার করে লাভের মূখ দেখছেন ।
এলাকার একাধিক খামারিরা জানায়, মাসুদের খামার দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে আরো অনেকে তার্কি মুরগির খামার করে লাভের মুখ দেখছেন।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ননী গোপাল বর্মণ বলেন, সাধারণ মুরগি খামারের চেয়ে তার্কি মুরগি পালনে খচর কম এবং লাভ অনেক বেশি হওয়ায় অনেকেই এ খামারের দিকে ঝুকছেন। তাই দিন দিন এই তার্কি মুরগির উৎপাদন বাড়ছে। আর তার্কি মুরগির রোগ বালাইও অন্য মুরগীর তুলনায় কম। তার্কি খামারিদের সার্বক্ষনিক তদারকি করছেন বলেও জানান তিনি।
- নো/বা/এমএস/দু