নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) একাডেমিক ও ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকাÐ এখন দৃশ্যমান হয়েছে। নোবিপ্রবি উপাচার্য ২০১৫ সালের ২জুন যোগদানের পর থেকে নিজ মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে দেশকে ভালবেসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করেছেন।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে নোবিপ্রবি’র উপাচার্যের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরগুলোর সার্বিক উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান বলেন তাঁর সময়কালে একাডেমিক গতি ত্বরান্বিত করার অংশ হিসেবে এখানে নতুন ৪টি অনুষদ ও ১৪টি বিভাগ খোলা হয়। যাতে করে এ অঞ্চলসহ গোটা দেশের আরো বেশি সংখ্যক গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীরা নোবিপ্রবিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। পাঁচশত ৫০ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল নির্মাণ ও ৬৫০ জন নারী শিক্ষার্থীর আবাসনের জন্য বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুনন্নেছা মুজিব হল নির্মাণ করা হয়েছে। ৪ তলা বিশিষ্ট আধুনিক লাইব্রেরি ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। দশ তলা বাংলাদেশের সর্ববহৎ তৃতীয় একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। দশ তলা বিশিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তা টাওয়ার, হাউজ টিউটর, স্টাফ কোয়াটার ও প্রভোস্ট টাওয়ার নির্মাণাধীন। তিন তলা মেডিকেল সেন্টার ও তিন তলা ভিতে একতলা কেন্দ্রীয় মসজিদ নির্মাণাধীন। এছাড়া হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য দুই কোটি টাকা ব্যয়ে উপাসানালয় নিমার্ণের কাজ চলছে। বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট ভবন এ সম্প্রতি উদ্বোধন করা হয়েছে ও এর কাজ চলমান। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা সহায়ক বৃত্তি’ ও বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মচারীদের মাঝে ত্রিশ লক্ষ টাকার ‘বঙ্গবন্ধু সহায়তা ফান্ড’ চালু করা হয়েছে।
উপাচার্য বলেন এসব উন্নয়ন কর্মকান্ডে তিনি কখনো এক টাকাও দুর্ণীতির আচঁড় লাগতে দেননি। তারপরও নোবিপ্রবির উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত করতে পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। প্রকৃত সত্য ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে পারস্পরিক মতবিনিময়ও করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নোবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন, প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউছুফ মিঞা, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সেলিম হোসেন, সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সৈয়্যদ আতিকুল ইসলাম, আইআইটির পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ভূঁইয়া, আইআইএসের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. মমিনুল হক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. গাজী মো. মহসীন প্রমূখ।