লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় এক বছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে সাড়ে ৪ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি। চলতি বছর নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ। যার বাজার মূল্য ৮শ’ কোটি টাকা।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম মহিব উল্লাহ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও ধরা পড়া ইলিশের পরিসংখ্যানের তথ্য নিশ্চত করেন।
জেলেদের সচেতনতা বৃদ্ধি, ডিমওয়ালা ইলিশ রক্ষা, জাটকা সংরক্ষণ, কারেন্টজালের ব্যবহার রোধ ও প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের মৎস্য কর্মকর্তারা।
মেঘনা উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরের রামগতি, কমলনগর, রায়পুর ও সদর উপজেলা মেঘনা নদীর পাড় ঘেঁষে। এই উপকূলের প্রায় ৬০ হাজার জেলে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলায় মোট ৩০টি মাছঘাট রয়েছে। এসব ঘাটের আওতায় প্রায় ছয় শতাধিক আড়ত। জেলেরা ইলিশ ধরে ঘাটের আড়তে ওঠান। বহু ডাকের মাধ্যমে সরাসরি জেলেদের কাছ থকে মাছ কেনেন ব্যবসায়ীরা। মৌসুমের প্রতিদিন কোটি-কোটি টাকার ইলিশ বিক্রি হয় এসব ঘাটে। ব্যবসায়ীরা কিনে নদী ও সড়ক পথে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন। এভাবে লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় ধরা পড়া ইলিশ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় জেলেরা এবারের ইলিশ মৌসুমে ২০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ শিকার করেছেন। সরকারি হিসাবে গত বছর ছিলো ১৫ হাজার ৬শ’ মেট্রিক টন। এক বছরের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৪ হাজার ৪শ’ মেট্রিক টন। গড়ে প্রতি কেজি ইলিশ ৪০০ টাকা দরে ২০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশের দাম দাঁড়ায় প্রায় ৮শ’ কোটি টাকা। গত বছরের তুলনা এ বছর ১শ’ ৭৬ কোটি টাকার বেশি ইলিশ উৎপাদন হয়েছে।
স্থানীয় জেলেদের কাছ থেকে জানা গেছে, মৌসুমের শুরুতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পড়েনি। নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি ও বর্ষায় প্রচুর বৃষ্টিপাতের সময় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়েছে। ইলিশ ধরা পড়ায় তারা অতীতের ধারদেনা পরিশোধ করতে পেরেছেন।
জেলার সব চেয়ে বড় মাছ ঘাটগুলোর একটি কমলনগরের মতিরহাট। এ ঘাটের সভাপতি মেহেদি হাসান (লিটন মেম্বার)