ষ্টাফ রিপোর্টার :
নোয়াখালী সদর উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.নুরুল আলমকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় বাঁধা দিতে গেলে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে ৪জন এলাকাবাসীকে গুরত্বর আহত করেছে সন্ত্রাসীরা।
ঘটনায় শনিবার বিকালে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আলমের ছোট ভাই মো. মোরশেদ আলম বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। হামলায় আহতরা হলেন- মো. হানিফ মাঝি (৪০), আশ্রাফুল আলম সুমন (২৮), নুরুল হক (৪৫) ও আলী উল্যা (৫৮)।
স্থানীয় সুত্র এবং মামলার বাদী মোরশেদ আলম জানান উপজেলার চর কাউনিয়া গ্রামের মোকাররম একজন স্বীকৃত ডাকাত। সে সকল ধরনের দেশি-বিদেশী অস্ত্র চালানোয় প্রশিক্ষিত হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় নিজস্ব বাহিনী তৈরী করে ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। মোকাররম সহ তার বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। ওই বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিহত করতে স্থানীয় জনগনের দাবির মুখে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আলম জনগণকে সচেতন করতে কর্মকান্ড পরিচালনার উদ্যোগ নিলে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা চেষ্টায় লিপ্ত হয়ে উঠে।
গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাত সাড়ে ১১টায় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আলম নিজ বাড়িতে একটি সালিশ বৈঠকে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় সন্ত্রাসী মোকাররমের ছেলে মো. ফয়সালের নেতৃত্বে আবুল কালাম, মনোয়ার হোসেন, সোহাগ, এমরান, আনোয়ার হোসেন, লিটন সহ সঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসীরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চেয়ারম্যানকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ী গুলি চালায়। এসময় স্থানীয়া এগিয়ে এসে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করলে সন্ত্রাসীরা স্থানীয়দের উপর হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে ও পিটানো শুরু করে। এতে স্থানীয় বাসিন্দা মো. হানিফ মাঝি, আশ্রাফুল আলম সুমন, নুরুল হক ও আলী উল্যা গুরুত্বর আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন সন্ত্রাসী মোকাররম এবং তার ছেলে ফয়সাল বাহিনী চরমটুয়াকে ডাকাতি ও দখলদারিত্বের মাধ্যমে সন্ত্রাসের জনপদে পরিনত করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় তিনি উদ্যোগ নিলে সন্ত্রাসীরা তাকে একাধিকবার গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আবদুল বাতেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।