ষ্টাফ রিপোর্টার:
নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নে এক গৃহবধূকে (৩৬) নেশাদ্রব্য খাইয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার সকালে ভিকটিমকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। এরআগে রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার চরউরিয়া গ্রামের একটি সুপারি বাগানের পরিত্যাক্ত ঘরে এঘটনা ঘটে। ভিকটিম ওই গ্রামের শরবতের নেছার বাড়ীর নজরুল ইসলামের স্ত্রী।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভিকটিমের অভিযোগ, ঢাকার গুলশানের একটি বেসরকারি অফিসে চাকরি করেন তিনি। চরউরিয়ায় তার গ্রামের বাড়ী। কয়েক মাস আগে স্থানীয় সিরাজ, শফিকুল, ফয়েজ ও সেলিমসহ কয়েকজন এলাকায় জমি ক্রয় করে দিবে বলে তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছিলো। এরপর থেকে জমি বুঝিয়ে দিতে বললে তারা নানা ধরনের তালবাহানা শুরু করে। ঈদের ছুঁটিতে বাড়ীতে আসার পর পুনঃরায় উল্লেখিত ব্যক্তিদের জমি বুঝিয়ে দিতে বলেন তিনি। এর সূত্র ধরে রোববার রাতে কাগজপত্র বুজিয়ে দিবে বলে আজিজুল হকের সুপারি বাগানের একটি পরিত্যাক্ত ঘরে তাকে ডেকে নিয়ে যায় তারা।
গৃহবধূর অভিযোগ, ওই ঘরে তার জন্য বিস্কুট ও পানি দিয়ে নাস্তার ব্যবস্থা করে অভিযুক্তরা। তাদের দেওয়া বিস্কুট ও পানি খাওয়ার পর অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে সোমবার ভোর ৪টার দিকে জ্ঞান ফিরার পর নিজের সেলোয়ার ও কাপড় খোলা দেখতে পান তিনি। তার দাবী ওই ঘরে থাকা সিরাজ, শফিকুল, ফয়েজ, সেলিম, জয়নাল, লতিফ, আজিজুল হক, সামছুল হক, মিঠু ও দুলাল তাঁকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহি উদ্দিন আবদুল আজিম বলেন ভিকটিক চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার শারীরিক পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভিকটিম অভিযোগ দায়ের করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।