ষ্টাফ রিপোর্টার :
নোয়াখালী পৌর পার্কে শিক্ষার্থীদের অশোভন আচরণ ও ইভটিজিং রোধে ক্লাস চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের পার্কে আড্ডায় নিষেধ করেছেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
গত মঙ্গলবার শহরের পৌর পার্কে অভিযান চালিয়ে ১৮জন ছাত্রছাত্রীকে আটক করে সুধারাম থানা পুলিশ। অভিযানের পর থেকে পৌর পার্কে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা পড়–য়া ছেলে-মেয়েদের আড্ডা কমে গেছে। সতর্ক হয়েছেন অভিভাবকরা। এমন উদ্যোগের জন্য জেলায় প্রশংসিত হয়েছেন একরামুল করিম চৌধুরী এমপি।
সুধারাম থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবদুল বাতেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি গার্লস স্কুল, জিলা স্কুল, পাবলিক কলেজ সহ শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ক্লাস চালাকালীন সময়ে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ পৌর পার্কে আড্ডা সহ অশোভন আচরণ করে আসছে। এতে অনেক ছাত্রী ইভটিজিংয়ের শিকারও হয়েছেন। পার্কে ইভটিজিং ও অশোভন আচরণ রোধে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পার্কে- “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলাকালীন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের প্রবেশ নিষেধ’ করে সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়েছে। এতেও পার্কে বন্ধ হয়নি শিক্ষার্থীদের প্রবেশ। তাই এমপির নির্দেশে পার্কে অভিযান চালিয়ে ওই ছাত্র-ছাত্রীদের আটক করা হয়েছে। এর এক ঘণ্টা পর ‘পার্কে ক্লাস চলাকালীন সময়ে আর আসবে না’ এই মর্মে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
আমির হোসেন, মাওলনা মফিজুর রহমান,সহ একাধিক অভিভাবক বলেছেন- তাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়ে পার্কে বা রেস্টুরেন্টে আড্ডা দেয়। এতে পড়ালেকার ক্ষতি সহ মেয়েরা বিভিন্ন সময়ে ইভটিজিংয়ের শিকার হন। এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর নির্দেশে ক্লাস চলাকালীন সময়ে পার্ক এবং রেস্টুরেন্টে পুলিশের অভিযানে ছেলে-মেয়েদের আড্ডা কিছুটা কমে গেছে। তারা এমপির এ নির্দেশে স্বস্তি প্রকাশ করে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন।
একরামুল করিম চৌধুরী এমপি বলেন, “প্রায়ই দেখি ওই পার্কে শিক্ষার্থীরা জুটি বেঁধে আড্ডা দেয়। অভিভাবকরা ফোন করে, ফেইসবুকে আমাকে বলেছে- আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না। আমার কাছ থেকে সহযোগিতা চায় অভিভাবকরা। চারদিক থেকে আমার কাছে পরামর্শ আসে। গত ছয় মাস থেকে আমি এখনাকার মহিলা কলেজ, গার্লস স্কুলের সামনে থেকে বখাটেদের আড্ডা বন্ধ করেছি। কিন্তু বখাটে ছেলেগুলো এখন বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ও ওই পার্কের মধ্যে চলে এসেছে।” তাই পার্কে শিক্ষার্থীদের ইভটিজিং এবং অশোভন আচরণ বন্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি।