ষ্টাফ রিপোর্টার :
নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুর্গত মানুষের ভরসা হিসেবে পাশে রয়েছে ফায়েল খায়ের প্রোগ্রামে বাংলাদেশে সিডর আক্রান্তদের জন্য নির্মিত স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার। দুর্যোগের সময় প্রতিটি স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টারে দুই হাজার মানুষ এবং পাঁচ শতাধিক গবাদি পশু আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া ওই শেল্টারগুলোর প্রতিটিতে ২৪০জন শিক্ষার্থীকে নিয়মিত শিক্ষা প্রদান করা হবে।
সোমবার বিকালে সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সভা কক্ষে ফায়েল খায়ের প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে সিডর আক্রান্তদের জন্য নির্মিত উত্তর ওয়াপদা কারামতিয়া দাখিল মাদ্রাসা স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ফায়েল খায়ের কর্মসূচির কার্যক্রম পরিচালক (আই.এস.ডি.বি) সুফী মুস্তাক আহমেদ এ তথ্য তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাকারিয়ার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এলজিইডি নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী এমএ সাত্তার, ফায়েল খায়ের কর্মসূচির প্রকল্প পরিচালক (আই.এম.সি) পল নরম্যান বার্ড।
এসময় এলজিইডি সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম, উত্তর ওয়াপদা কারামতিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলনা অলি উল্যা সহ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের কর্মকর্তা এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সৌদি আরবের প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের অর্থ অনুদানে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে সিডর আক্রান্তদের জন্য ১৭২টি স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের পর তা ব্যবহারকারীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরমধ্যে সোমবার নোয়াখালী সদর উপজেলায় ১টি এবং সুবর্ণচর উপজেলায় ২টি স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার হস্তান্তর করা হয়।