ষ্টাফ রিপোর্টার: নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা ‘হাতিয়া উপজেলা জামে মসজিদের’ জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সি.এ ওয়াজ উদ্দিন। এতে মসজিদের মূলভবনটি অনেকটা আড়াল হয়ে যাওয়ায় মুসল্লিরা অনেকটা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।
‘হাতিয়া উপজেলা জামে মসজিদের’ মুসল্লি শরীফ উদ্দিন, মোসলেহ উদ্দিন, আবুল হাসেম ও আবদুর রহমান জানান মসজিদের সামনে কমিঠির অনুমোদন নিয়ে অনেকগুলি ছোট ছোট চায়ের দোকান অস্থায়ী ভিত্তিতে করা হয়েছে। এ সুবাধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সি.এ ওয়াজ উদ্দিন মসজিদ কমিটির নিকট মসজিদের সামনে একটি দোকান ঘর নির্মাণ করার আবেদন করেন। তার আবেদনের ভিত্তিতে তাকে অস্থায়ী ভিত্তিতে একটি দোকান ঘর তৈরি করে মুসল্লিদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র বিক্রি করার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু ওয়াজ উদ্দিন কমিটির দেওয়া বিধি লঙ্গন করে দোকানের ভিটি পাকা করে পাশবর্তী অন্য দোকানগুলোর চেয়ে উচ্চতা বৃদ্বি করে বিশাল টিনশেট ঘর নির্মাণ করে মসজিদের সম্পত্তি দখল করে নেয়।
এ ব্যাপারে মসজিদ কমিটির সদস্য মসজিদের ইমাম মাওলানা মছলে উদ্দিন জানান এভাবে দোকান ঘর তৈরি করার কথা ছিলনা। বিষয়টি সমর্থন যোগ্য নয়। একই ভাবে মসজিদ কমিটির সদস্য উপজেলা সিপিডি কর্মকর্তা বদিউল আলম জানান, মসজিদের সামনে দোকান ঘর নির্মাণের বিষয়টি আমি দেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। এখানে এভাবে দোকান ঘর নির্মাণ মুসল্লিরা সমর্থন করবে না।
স্থানীয়রা জানান, মসজিদের সামনে কয়েকজন অসহায় ব্যক্তিকে তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য অস্থায়ীভাবে টংঘর নির্মানের অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু স্থায়ী দোকান ঘর নির্মাণ করতে হলে মসজিদের আয় বৃদ্ধির লক্ষে ভিটি ইজারা/ভাড়া দেওয়া বৈধ ছিল। তা না করে কেবল এক ব্যক্তিকে এভাবে বিনা স্বার্থে ঘর নির্মাণের অনুমতি দেওয়া ঠিক হয়নি। তাছাড়া ওয়াজ উদ্দিন একজন সরকারি কর্মচারী।
এ ব্যাপরে মসজিদ কমিটির সভাপতি হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর এ আলম বলেন, নিয়ম মেনে ও মসজিদ কমিটির অনুমোদন নিয়ে এ ঘরটি নির্মাণ করা হয়েছে।