
ষ্টাফ রিপোর্টার :
নোয়াখালী পৌর শহরে ২০০৫ সাল থেকে সুপেয় পানি সরবরাহ প্রকল্প শুরু করা হয়। শহরের কিছু এলাকায় সুপেয় পানি সংকট দুর হলেও সংকটাপন্ন রয়ে গেছে বেশিরভাগ এলাকা। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ভূগছে পুরাতন হাউজিং এলাকার প্রায় দেড় হাজার পরিবার। ওই পরিবারগুলোর এ সমস্যা সমাধানে নতুন প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে জন-স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপিএইচই।
বুধবার সকালে বিশুদ্ধ পানির সমস্যা দুর করার লক্ষ্যে নোয়াখালী পৌর শহরের পুরাতন হাউজিং এলাকায় ভূ-গর্ভস্থ পানিশোধনাগারের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যাহ্ খান সোহেল প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডিপিএইচই’র প্রকল্প পরিচালক মো. জহির উদ্দিন দেওয়ান, জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ চন্দ্র দাস, নোয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সুজিত বড়–য়া, পৌর কাউন্সিলর জাহিদুর রহমান শামীম প্রমূখ।
ডিপিএইচই জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ চন্দ্র দাস বলেন, আগামী ২০২০ সালের জুন মাসে এ প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পের অধীন প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে লৌহ দুরিকরণ প্ল্যান্ট। শহরের পার্শ্ববর্তী নোয়ান্নই ইউনিয়ন এলাকায় ইতোমধ্যে ভূ-গর্ভ থেকে পানি উত্তোলনের প্ল্যান্টের কাজ শুরু করা হয়েছে। সেখান থেকে পানি উত্তোলন করে তা হাউজিং এলাকায় নির্মাণাধীন লৌহ দুরিকরণ প্ল্যান্টে আসবে। এখান থেকে পানি বিশুদ্ধ হয়ে তিনটি উচ্চ পানি ধারণ হাউজের মাধ্যমে বাসিন্দাদের ঘরে ঘরে পৌছে দেয়া হবে। পুরো প্রকল্প বাস্তাবন শেষে নোয়াখালী পৌরসভাকে হস্তান্তর করা হবে। তিনি আরো বলেন, এ লৌহ দুরিকরণ হাউজে প্রতি ঘন্টায় ৩৫০ ঘন মিটার পানি পরিশোধন হবে।
নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যাহ্ খান সোহেল বলেন, পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ৫০ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। পৌর এলাকার বাসিন্দাদের প্রত্যেকের জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিত করা তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল। তিনি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর সুপেয় পানি সংকট দুর করতে বিভিন্ন দপ্তরের দারস্ত হয়েছেন। অবেশেষে তার নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নোয়াখালী পৌর এলাকার কোনো বাসিন্দা সুপেয় পানির অভাবে থাকবে না।