ষ্টাফ রিপোর্টার :
নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নে শিশু সন্তান শারমিন আক্তার লামিয়া (০৩) এবং অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ পারহানা বেগম পান্নার (২৪) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার সকালে উপজেলার কাজীর চর গ্রামের আইয়ুব আলীর বাড়ি থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত গৃহবধূ পান্না কাজীর চর গ্রামের ইটভাটার শ্রমিক মো. সুমনের স্ত্রী এবং শিশু লামিয়া সুমনের মেয়ে।
সুধারাম থানা পুলিশ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানায় উপজেলার কাজীর চর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে সুমনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী পারহানা বেগম পান্না পারিবারিক কলহের জের ধরে শিশু সন্তানসহ শারমিন আক্তার লামিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহত মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত গৃহবধূর শ্বশুর আইয়ুব আলী এবং শ্বাশুড়ী হাসিনা আক্তারকে আটক করা হয়।
নিহত গৃহবধূ পারহানা বেগম পান্নার বাবা আবুল কালাম ও বড় ভাই মো. হারুন অভিযোগ করে বলেন, গত পাঁচ বছর আগে কাজীর চর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে মো. সুমনের সাথে পারিবারিকভাবে পান্নার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক কলহের জের ধরে শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদ পান্নাকে প্রায় নির্যাতন করত। শনিবার দিনবর সুমনের মা হাসিনা আক্তারসহ পরিবারের লোকজন পান্নাকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এসময় পান্নার শিশু সন্তান শারমিন আক্তার লামিয়া ঘটনাটি দেখে পেলায় তাকেও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সুমনের পরিবারের সদস্যরা। এরপর তারা পান্না এবং লামিয়ার লাশ ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখেন। নিহত গৃহবধূ, শিশু লামিয়া ও পান্নার অনাগত সন্তানের হত্যার তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করেন পান্নার পরিবারের সদস্যরা।
সুধারাম থানার ওসি নবীর হোসেন বলেন, নিহত গৃহবধূ ও তার শিশু সন্তানের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত বলা যাবে। এঘটনায় অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।