ষ্টাফ রিপোর্টার:
নিখোঁজের নয় বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন শিরীন আক্তার নামে এক তরুণী। নোয়াখালীর হাতিয়ার এই তরুণীকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে নোয়াখালীর ডিসি তন্ময় দাস আনুষ্ঠানিকভাবে ওই তরুণীকে তার বাবা মায়ের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় যাদের আশ্রয়ে তরুণীটি বেড়ে ওঠে সেই পালক বাবা-মা উপস্থিত ছিলেন ।
হাতিয়ার শূন্যের চরের সূর্যমুখী আসকা বাজার এলাকার মৎস্যজীবী মো. আবুল কাসেমের মেয়ে সেলিনা আক্তার শিরিন।
নয় বছর আগে আবুল কাসেম সাগরে মাছ ধরতে গেলে আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে শিরিন জানতে পারেন ডাকাতরা তার বাবাকে মেরে ফেলেছে। আরা সেই কারণে মা স্ট্রোক করে মারা গেছে। হাসপাতালে নানির চিকিৎসা করানো অবস্থায় শিরিন হারিয়ে ফেলে তার নানিকেও। অপরিচিত এক নারী শিরিনকে নানির কাছে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে নিয়ে যায় চট্টগ্রামের হালিশহরে। সেখানে একটি বাসায় নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে একটি বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে বিক্রি করে চলে যান সেই নারী।
এভাবে প্রায় তিন বছর সেই বাড়িতে থাকা অবস্থায় শরীরে নির্যাতনের বহু ক্ষত নিয়ে পালিয়ে সন্দ্বীপের অধিবাসী হালিশহরের স্বপ্না বেগমের বাসায় শিরিন আশ্রয় নেন। এরপর স্বপ্নার বড় বোন সানোয়ারা বেগম ও তার স্বামী দিদারুল আলম শিরিনকে মানবিক কারণে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। সেই থেকে নিজের মেয়ের মতোই শিরিনকে পড়ালেখা করানো থেকে সবকিছু করেন। গত জুন মাসে মহা ধুমধাম করে শিরিনকে বিয়ে দেন তারা।
দীর্ঘ এই সময়ে তারাও চেষ্টা করেছেন শিরিনের পিতৃপরিচয় এবং তার পরিবারকে খুঁজে পেতে। ব্যর্থ হয়ে সেই আশাও ছেড়ে দেন তারা। শিরিন তাদের মেয়ে হিসেবেই জীবন-যাপন করতে থাকে।
দীর্ঘ নয় বছর পর গত আগস্ট মাসে চট্রগ্রামের উন্নয়ণ সংগঠন ভোরের আলো’র প্রতিষ্ঠাতা উন্নয়ন কর্মী ও সাংবাদিক মো. শফিকুল ইসলাম খান হাতিয়ায় শিরিনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন। তিনি জানতে পারেন শিরিনের বাবা ও মা ও অন্যান্য ভাই-বোনেরা সবাই বেঁচে আছেন। নানা আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে ও সব কাগজপত্র ও প্রমাণাদী মিলিয়ে দীর্ঘ নয় বছর বাবা-মায়ের স্নেহ বঞ্চিত শিরিন আক্তার সেলিনাকে তার প্রকৃত মা-বাবার হাতে তুলে দেয়া হয়।

- প্রচ্ছদ
- জাতীয়
- নোয়াখালী
-
Featured
-
Featured
-
Featured
-
- লক্ষ্মীপুর
- ফেনী
- প্রবাসে বৃহত্তর নোয়াখালী
- মতামত
- আরও
Select Page