ষ্টাফ রিপোর্টার:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে হোমিও দোকানের স্পিরিট পান করে পাঁচজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত তারা মারা যান। এ ঘটনায় আরও অন্তত চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বসুরহাট বাজারের রফিক হোমিও হল দোকানের স্পিরিট বিভিন্ন কোমল পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে পান করে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার মোহাম্মদনগর গ্রামের মৃত ফয়েজ আহমদের ছেলে মহিন উদ্দিন (৪০), বসুরহাট পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের বাঁশ ব্যাপারী বাড়ির নুর নবী মানিক (৫০), পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের ক্ষিরত মহাজন বাড়ির অনিল রায়ের ছেলে রবি লাল রায় (৫৭), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজার এলাকার আবদুল খালেক (৭২), সিরাজপুর ইউনিয়নের মতলব মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন সবুজ (৬০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুলিশ জানার আগেই মৃত তিনজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তবে আরও দুজনের দাফন এখনো সম্পন্ন হয়নি। পরে পুলিশ খবর পেয়ে রবি লাল রায়ের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং আরও একজনের লাশ উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
এ ঘটনায় পুলিশ স্পিরিট বিক্রেতার ছেলে প্রিয়মকে আটক করে। তবে স্পিরিট বিক্রেতা ডা. জায়েদ গা ঢাকা দিয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এ দোকানের মালিক জায়েদ ও তার ছেলে প্রিয়ম বেশ কয়েক বছর অনেকটা খোলামেলাভাবে এ হোমিও হলে স্পিরিটসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য বিক্রি করে আসছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান পাঁচজনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেন। ওসি বলেন, একাধিক সূত্রে বিভিন্ন স্থানে স্পিরিট পানে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর শুনে তাদের বাড়ি পরিদর্শন করি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও একজনের লাশ উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ। এর আগে তিনজনের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।