সেনাাইমুড়ী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সেনাাইমুড়ী উপজেলায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষক জাকির হোসেন (২৮) এর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হওয়ার পর বুধবার দুপুরে ওই স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
রোববার রাতে উপজেলার নদনা ইউনিয়নের শাকতোলা গ্রামের কাজী বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষক জাকির হোসেন উপজেলার শাকতোলা গ্রামের জামাল আহম্মদের ছেলে ও সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের অস্থায়ী (দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক) চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী।
ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা জানায় ঘটনার দিন রাতে নদনা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী নিজ ঘর থেকে বের হয়ে পাশের ঘরে টিভি দেখতে যাওয়ার পথে একই বাড়ির জাকির হোসেন ওই ছাত্রীকে উঠান থেকে মুখ চেপে ধরে ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় ভিকটিমের চিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে গিয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ধর্ষক জাকির হোসেন পালিয়ে যায়।
সোমবার সকালে ঘটনার বিচারের দাবিতে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও স্থানীয়দের সাথে নিয়ে ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ হাতে পেয়ে বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন নির্বাহী কর্মকর্তা। মঙ্গলবার দুপুরে ভিকটিমের পরিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে বিচার চাইতে গেলে তিনি ভিকটিম, ভিকটিমের মা ও দাদির মুখে বর্ণনা শুনেন। এসময় তিনি ধর্ষক জাকিরকেও ডেকে তার বক্তব্য শুনেন। পরে তিনি বিষয়টি মিমাংসা করার প্রস্তাব দেন ইউএনও। ইউএনও এর প্রস্তাবে ক্ষুব্দ হয়ে ভিকটিমের পরিবাররের সদস্যরা বাড়ি ফিরে যায়। পরে স্থানীয়দের পরামর্শে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে জাকিরকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে সোনাইমুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বুধবার সকালে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করে পুলিশ।
ধর্ষনের ঘটনা মিমাংসা চেষ্টার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার টিনা পাল বলেন, এসব বিষয়ে কোন মিমাংসা চলেনা। আমি এত কাঁচা কাজ করিনা। আমার কাছে আসার পর ভিকটিমকে বলেছি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করতে।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি আব্দুস সামাদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পালাতক ধর্ষক জাকিরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।