কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই শিশির কুমার বিশ্বাসকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার রাতে জেলা এসপি মো. আলমগীর হোসেনের নির্দেশে তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বেড়াতে আসা সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক নাগরিক ও স্থানীয় দুই দুবাই প্রবাসীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই পদক্ষেপ নেয়া হয়। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত এসপি কাজী আবদুর রহিম অভিযোগটি তদন্ত করছেন।
এসআই শিশিরকে থানা থেকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত এসপি কাজী আবদুর রহিম।
রোববার দুপুরে মুঠোফোনে তিনি জানান, এসআই শিশিরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। গতকাল রাতে জেলা এসপি ওই আদেশটি দিয়েছেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফাতেমা বেগম বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে আরব আমিরাতের ব্যবসায়ী আলী আহমেদ আবদুল্লাহর অধীনে চাকরি করেন। একইভাবে তার স্বামী, দুই ভাইসহ বেশ কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন একই মালিকের (কপিল) দুবাইয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন।
তিনি জানান, গত ৩ নভেম্বর আলী আহমেদ তাদের সঙ্গে কোম্পানীগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এরপর তিনি তার থাকার সুবিধার্থে বসুরহাটে একটি বাসা ভাড়া নেন। সেখানে তারা পুরো পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।
ফাতেমা অভিযোগ করেন, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে তাদের বাসায় যান একই থানার এসআই শিশির কুমার বিশ্বাস। তিনি ঘরে ঢুকে নানা অশ্লীল কথাবার্তা বলেন। একপর্যায়ে তাদের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে দুইজনকে গ্রেফতারের হুমকি দেন। এ সময় তিনি শিশিরকে ‘ভাই’ ডেকে তার হাতে-পায়ে ধরে এ বিষয়ে কোনো কিছু না করার আকুতি জানান। পরে তার হাতে ১২ হাজার টাকা তুলে দিলে তিনি চলে যান।
ফাতেমার পরিবারের সদস্যরা এসআই শিশিরের ১২ হাজার টাকা নেয়ার বিষয়টি জেলা এসপিকে জানান। পরে এসপি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত এসপি কাজী আবদুর রহিমকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন।