কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট মা ও শিশু হাসপাতালে ইকজেকশন দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে নুরার নাহার নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহত গৃহবধূ তিন সন্তানের জননী ও সাড়ে আট মাসের গর্ভবতী ছিল। ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা।
নুরের নাহার উপজেলার চরকাঁকড়া ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঠাডা আলা বাড়ির কামরুজ্জামনের স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বসুরহাট মা ও শিশু হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে । পরে পুলিশের উপস্থিতিতে হাসপাতালের মালিক পক্ষ ও নিহতের স্বজনদের মধ্যে মারমুখি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় । পরে দুপুর সাড়ে ২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুলেন্সে রাখা লাশ থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রৌশন জাহান লাকীর প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী নার্স ইনজেকশন পুশ করার সঙ্গে প্রসূতি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
তবে ডা. রৌশন জাহান বলেন, ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু হয়নি। বরং আমার চেয়ে বড় কোনো ডাক্তার দিয়ে ঘটনার তদন্ত করলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বসুরহাট মা ও শিশু হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো.আব্দুল জলিল বলেন, হাসপাতালে রোগীকে সকাল ৮টার দিকে ভর্তি করা হয়ছে, এখানে তেমন কোনো চিকিৎসা হয় নেই এ রোগীর। সেখানে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রশ্নই উঠেনা।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিহত গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। যেহেতু এ মৃত্যু নিয়ে নিহতের স্বজনরা মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে।