Select Page

আজ শনিবার, ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি সময়: রাত ১১:০৮

৭ ডিসেম্বর নোয়াখালী হানাদার মুক্ত দিবস

দৈনিক নোয়াখালীবার্তা
Noakhali Barta is A News Portal of Noakhali.

ষ্টাফ রিপোর্টার:
৭ ডিসেম্বর নোয়াখালী হানাদার মুক্ত দিবস। মুক্তিসেনারা একাত্তর সালের এইদিন জেলা শহর মাইজদীতে রাজাকারদের প্রধান ঘাঁটির পতন ঘটিয়ে নোয়াখালীর মাটিতে উড়িয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় পতাকা।

শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে দিনটি পালন করবে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ।

এ উপলক্ষে বিকেল ৩টায় জেলা শহরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রা, পিটিআই সংলগ্ন নোয়াখালী মুক্ত মঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন বিজয় মঞ্চে বিকালে মুক্তিযদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের উদ্যোগে উদ্বোধন করা হবে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা।

একাত্তরের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে দখলদার বাহিনী ও রাজাকাররা জেলার শ্রীপুর, কুরিপাড়া, গোপালপুর সহ বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। গুলি ও পুড়িয়ে হত্যা করে দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুকে। গান পাউডার দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

মুক্তিযোদ্ধারা দেশের অভ্যন্তরে ও ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জেলার বামনী, তালমাহমুদের হাট, রাজগঞ্জ, বগাদিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা।

নোয়াখালী মুক্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে ৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে মাইজদী পিটিআই ও বেগমগঞ্জ টেকনিক্যাল হাইস্কুল ক্যাম্প ছেড়ে কুমিল্লা সেনানিবাসের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যেতে থাকে পাক বাহিনী। এসময় বেগমগঞ্জ-লাকসাম সড়কের বগাদিয়া ব্রিজ অতিক্রম করতেই সুবেদার লুৎফুর রহমান ও শামসুল হকের নেতৃত্বাধীন মুক্তি বাহিনীর হাতে অসংখ্য পাক সেনা নিহত হয়।

সাত ডিসেম্বর সূর্য উদয়ের আগে থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে বিজয় মিছিল নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা একযোগে মাইজদীতে পিটিআই ক্যাম্পে হানা দেয়। সন্ধ্যার আগেই মুক্ত হয় জেলা শহর মাইজদী। মুক্ত হয় নোয়াখালী।

একাত্তর রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক বাদল ও মিজানুর রহমান আপেক্ষ করে বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর ও গণকবরগুলি এখনো সংরক্ষিত হয়নি। মাইজদী পিটিআই হানাদারদের ক্যাম্পে অত্যাচার ও গুলি করে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যার পর জেনারেল হাসপাতালের পেছনে গর্ত করে পুঁতে ফেলতো। তাদের কবরগুলোও সংরক্ষিত হয়নি। তারা দু’জনই দিবসটি যথাযথ পালনের পাশাপাশি মহান শহীদদের কবরগুলো সংরক্ষণের দাবি জানান।

নোয়াখালী মুক্ত দিবস উদ্যাপন কমিটির সভাপতি মোজ্জামেল হক মিলন জানান, নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতে প্রতি বছরের মতো এবারও শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এ দিবসে নোয়াখালী মুক্ত মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধাদের মিলন মেলায় সম্প্রিতির বন্ধ তৈরী হতে দেখা যায়।

Facebook Comments Box

সর্বশেষ সংবাদ

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০