
ষ্টাফ রিপোর্টার: নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক দুঃসময়ের কান্ডারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চুন্নু মিয়া (লুঙ্গি চুন্নু) রোববার সকাল সোয়া ১১টায় মাইজদীস্থ একটি বেসরকারী হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজেউন)। এদিকে তার মৃত্যুতে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ.কে.এম সামছুদ্দিন জেহান ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদুল্যাহ খাঁন সোহেলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ শোক প্রকাশ করেন এবং পরিবারের প্রতি গভীর সমাবেদনা প্রকাশ করেন। তিনি সারাজীবন মুজিব আদর্শের সৈনিক হিসাবে আন্দোলন সংগ্রামে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে নিজের জীবন যৌবনের কথা ভুলে গেছেন।
১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে ঘাতকরা হত্যার পর মুজিব আদর্শের এই সৈনিক তখন টগবগে যুবক মোফাজ্জল হোসেন (লুঙ্গি চুন্নু) প্রতিজ্ঞা করেছিলো ফের আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় না আসলে আর বিয়ে করবেন না। তাই তিনি নোয়াখালীসহ দেশের সব স্থানে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েন এবং ঘাঁত প্রতিঘাতে নিজের বিয়ের কথাও ভুলে গেছেন। অবশেষে ১৯৯৬ সালে আওয়ামীল ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৭ সালে ৪৭ বছর বয়সে বিয়ের পিড়িতে বসেন মোফাজ্জল হোসেন (লুঙ্গি চুন্নু)। দীর্ঘদিন লিভারে আক্রান্ত হয়ে বাড়ীতে অসুস্থ থাকার পর রোববার সকালে দুনিয়া থেকে বিদায় নেন। মৃত্যুকালে এক মেয়ে, স্ত্রী ও তিন ভাইসহ অসংখ্য ভক্তদের রেখে যান। আগামীকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টায় মাইজদী শহিদ মিনারে মরহুমের প্রথম জানাযা ও সোনাপুর কলেজ মাঠে দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।