
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ব্যাধি করোনা ভাইরাস ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা রয়েছে । এ ভাইরাস প্রতিরোধে নোয়াখালীর প্রত্যেক এলাকার সাধারণ মানুষকে নিরাপদে থাকার পরামর্শ দিয়েছে জেলা প্রশাসন । এরমধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে করোনার খবরসহ যাবতীয় সংবাদ তুলে ধরতে কাজ করে যাচ্ছে গণমাধ্যমের কর্মীরা ।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা মোকাবেলায় জরুরি সভা, সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাসহ নানা কর্মযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। এ কর্মযজ্ঞের খবর দেশের মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন গণমাধ্যম কর্মীরা। তবে তাদের সুরক্ষায় কোন দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে করে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নোয়াখালীর গণমাধ্যম কর্মীরা।
জেলা এবং জেলার ৯টি উপজেলায় দুই শতাধিক সাংবাদিক প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত আছেন। তাদের প্রত্যেকে নিজ নিজ সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ পাঠাতে ছুটে চলছেন অবিরাম। সচেতন থাকলেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্ক কাজ করছে গণমাধ্যম কর্মীদের মাঝে। করোনা মহামারি আকার ধারণ করলে দূত সময়ের মধ্যে গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন জেলার সিনিয়র সাংবাদিকরা।
এ জেলায় সাংবাদিকদের মধ্যে প্রেসক্লাব নিয়ে বিভাজন থাকায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দায়িত্বশীল পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা বলে জানান নবীন সাংবাদিকরা।
বাংলাদেশ রিপোর্টাস ক্লাব নোয়াখালীর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেল বলেন, সংক্রামক ব্যধি করোনার কারণে চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সাংবাদিক সমাজ। কারণ সংবাদ সংগ্রহে মাঠে বিচরণই সংবাদ কর্মীদের প্রধান কাজ। করোনা মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবং সংবাদমাধ্যম মালিক পক্ষের ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
নোয়াখালী সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ও আজকের বিজনেস বাংলাদেশের নোয়াখালী ব্যুরো প্রধান আমিরুল ইসলাম হারুন বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে সংবাদ কর্মীরা। এই পেশাকে রাষ্ট্র সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ পেশা হিসেবে বিবেচনা করে। গণমাধ্যম কর্মীদের নিরাপত্তা তথা স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রশাসন এবং সকল সংবাদ প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।
মাঠ পর্যায়ে সংবাদ সংগ্রহের জন্য দায়িত্বরত সংবাদ কর্মীদের জন্য পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুপমেন্ট (পিপিই) এবং আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে সংবাদ কর্মীদের পক্ষে প্রকৃতচিত্র তুলে ধরা সম্ভব হবে না। এর ফলে সংবাদ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর আশঙ্কা সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি (বাসাস) কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সিনিয়র সাংবাদিক মনিরুজ্জামান চৌধুরী।