
স্টাফ রিপোর্টারঃ নোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড ইন্দ্রপুর এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলায় আহত ব্যবসায়ী সিদ্দিক উল্যা (৪৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকালে জেলা শহর মাইজদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সিদ্দিক ইন্দ্রপুর গ্রামের আশরাফ আলী মুন্সি বাড়ির মৃত আশরাফ আলী মুন্সির ছেলে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, সিদ্দিকের বাড়ির রাস্তা দখল করে একটি ঘর নির্মাণ করছিলেন জেঠাতো ভাই ও একই বাড়ির আব্দুল কাইয়ুম। এ নিয়ে সিদ্দিক গত ২৫ মার্চ সকালে রাস্তা দখল করে ঘর নির্মাণ করার প্রতিবাদ করলে তাকে হত্যা করার হুমকি দেন কাইয়ুম। সিদ্দিকে হত্যা করার জন্য প্রয়োজনে পাঁচ লাখ টাকা খরচ করবেন বলেও হুমকি দেন কাইয়ুম। পরে ওই দিন দুপুরে স্থানীয় ঘাট মাঝির দোকানে নিজের চা দোকানে কাজ করছিলেন সিদ্দিক। সেসময় আব্দুল সালামের ছেলে আব্দুল কাইয়ুম, কাইয়ুমের ছেলে গিয়াস উদ্দিন সুমন, এনামুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন, সিরাজুল হকের ছেলে মহিন উদ্দিন ও ওলি উল্যাহসহ কয়েকজন এসে সিদ্দিকের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা সিদ্দিকে দোকান থেকে টেনে রাস্তার ওপর এনে এলোপাতাড়ি পিটুনি দেয়। সেসময় সিদ্দিকের ছেলে আল-আমিন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা তাদের দু’জনকে পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত সিদ্দিক ও আল-আমিনকে উদ্ধার করে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। সিদ্দিকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২৬ মার্চ সকালে সেখান থেকে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ও বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাইজদী সেন্টাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাছান জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় গত ২৮ মার্চ নিহতের ছোট ভাই নূর উদ্দিন বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলাটি বর্তমানে হত্যা মামলায় নথিভূক্ত করা হবে। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।