লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের প্রান্তিক কৃষকদের কল্যাণে ষাটের দশকে কৃষি বিভাগ জেলার ৫২টি ইউনিয়নে একটি করে বীজাগার স্থাপন করে। ওইসব বীজাগারের মধ্যে এখন ৪৮টিই ব্যবহারের অযোগ্য। যে কারণে এখানকার কৃষকরা বীজাগারের সুফল পাচ্ছেন না। এতে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
সম্প্রতি জেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, অব্যবহৃত এসব বীজাগারের দেয়াল ও ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ছে, দরজা-জানালা ভাঙা। ঝোপঝাড়ে বসবাস করে শিয়াল-কুকুর। ভূতুরে পরিবেশে মাদকসেবীদের আড্ডা। এদিকে, রামগতিতে মেঘনার ভাঙনেও একটি বিলীন হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, জেলার সব বীজাগারের ভবন জরাজীর্ণ। নির্মাণের পর সংস্কার না করায় ব্যবহারের অনুপযোগী এসব ভবন পরিত্যক্ত রয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রায় অর্ধেক জমি দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। অন্যগুলোও দখলে নেওয়ার পাঁয়তারা করছেন। কেবলমাত্র তিনটি বীজাগার ব্যবহার করছে কৃষি বিভাগ।
স্থানীয় প্রবীণ কৃষকরা জানান, ইউনিয়নের ওইসব বীজাগার থেকে স্থানীয় কৃষকরা বীজ, সার, কীটনাশসহ প্রয়োজনীয় সেবা পেতেন। গত দেড়-দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তারা বীজাগারের সেইসব সেবা পাচ্ছেন না।
সচেতন মহল মনে করেন, বীজাগারগুলো দখলমুক্ত করে সংস্কার ও পুণঃনির্মাণ করে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যম্যে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সেবা ও পরমর্শ দেয়া গেলে কৃষির উন্নয়ন হবে। দরিদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা সুফল পাবেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ষাটের দশকে লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, কমলনগর ও রামগতি উপজেলায় প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি করে মোট ৫২টি বীজাগার স্থাপন করা হয়। এসব বীজাগারে বেশ কয়েক বছর সরকারিভাবে সার, বীজ ও কীটনাশক সংরক্ষণ করা হতো। ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত কৃষি সহকারীর মাধ্যমে সেগুলো কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হতো। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ সহায়তা দেওয়া ছাড়াও ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি বিভাগের যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো এসব বীজাগার থেকে। অল্প সময়ের মধ্যে এর সুফল পায় প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা। পরে ডিলারের মাধ্যমে (বেসরকারিভাবে) সার, বীজ ও কীটনাশক খোলাবাজারে বাজারজাত করা শুরু হলে একপর্যায়ে এসব বীজাগার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
রামগতি উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ছালেহ উদ্দিন পলাশ ও কমলনগর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার দত্ত জানান,