
ষ্টাফ রিপোর্টার : নোয়াখালীতে জেলেদের চালের জন্য অশ্বদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ঘেরাও করতে গেলে চেয়ারম্যানের অনুসারীদের সাথে তাদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত ৭ জেলে আহত হয়।
সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অশ্বদিয়া ইউনিয়নে ১৬০ জন জেলের জন্য ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় মাসে ৪০ কেজি করে দুই মাসের ৮০কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু জেলেরা তাদের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের বরাদ্দ না পেয়ে সোমবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ঘেরাও করে। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলু পরিষদ থেকে বের হলে চালের জন্য তাকে ঘিরে ধরেন জেলেরা। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যানের অনসুসারীরা জেলেদেরকে ধাওয়া করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ৭ জেলে আহত হন। আহতদের মধ্যে জবিউল্লা(৫৩), সালাউদ্দিন(৬০), সহিদ উল্লা(৪৫), হারুন(৩২), কহিনুর (২৮), সেলিম(৪০) ও কতবানুকে(৬৫) স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম সরদার, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মোঃ আবদুর রহিম অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মোঃ আবদুর রহিম জানান, চালের জন্য জেলেরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ যাওয়ার আগে কিছু অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম সরদার জানান, জেলের জন্য বরাদ্দকৃত দুই মাসের চাল উত্তোলনে বিলম্বের কারণে যথা সময়ে বিলি করা যায়নি। যার কারণে জেলেদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে দ্রুত চাল বন্টনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে জেলেরা শান্ত হন।
এ ব্যপারে অশ্বদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলু জানান, জেলেরা কোন কিছু না বুঝেই ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিশৃঙ্খা সৃষ্টি করে। তাদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল যথা সময়ে তাদের মাঝে বন্টন করা হবে।