ষ্টাফ রিপোর্টারঃ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় সন্ত্রাসী হামলায় রাহাত
হোসেন নামে (২০) এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক মেহরাব হোসেন ভুট্টো ও হিজবুত তাওহীদ নেতা মহিনকে আটক
করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল )
সকালে উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়নের কাবিলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাহাত
পার্শ্ববর্তী জেলা কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের
জাওড়া মিজি বাড়ির ফজলুল হকের ছেলে। তিনি কাবিলপুর নানার বাড়িতে থেকে
মুদি দোকানের ব্যবসা করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ভুট্টো ও
মহিনের নেতৃত্বে ইউনিয়নের পোরকরা পশ্চিম পাড়ার মো. কালা, মিলন, নান্টু,
শাকিলসহ একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী সকালে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও
মোটরসাইকেলে করে কাবিলপুর উত্তরপাড়ায় হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা
হাজি সুপার মার্কেটে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে মুদি দোকানি রাহাত
ঘটনাস্থলে এলে সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে
হত্যা করেন।
নিহত রাহাতের বাবা
ফজলুল হক জানান, দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলে
সন্ত্রাসীরা তার ছেলেকে পিটিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে হত্যা করে। তিনি
হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি জানান।
গত ২৮ মার্চ চাষিরহাট ইউনিয়নের পৌরকরা পশ্চিম পাড়ার একদল যুবক তুচ্ছ
ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই ইউনিয়নের কাবিলপুর গ্রামবাসীর ওপর সন্ত্রাসী
হামলা চালায়। ওই সময় গণপিটুনিতে পৌরকরা গ্রামের ইব্রাহিম খলিল সুমন নামে
এক যুবক আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনার জেরে মঙ্গলবার সকালে পোরকরা পশ্চিম পাড়ার নুরুল হক মেম্বারের
ছেলে ও হিজবুত তাওহীদের এমাম সেলিমের ছোট ভাই মহিন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ
সাধারণ সম্পাদক ভুট্টোর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সামাদ বিষয়টি
নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার মূল হোতা মহিন ও ভুট্টোকে আটক করা হয়েছে। অন্য
যারা জড়িত আছেন তাদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।

Select Page