
নোয়াখালীতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বিস্তারে জেলা শহর মাইজদীসহ সদর উপজেলা ও প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনীসহ বেগমগঞ্জ উপজেলাকে ‘রেড জোন’ বিবেচনা করা হচ্ছে।
ফলে করোনার প্রকোপ থেকে জনসাধারণের সুরক্ষায় নোয়াখালী সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলাকে দ্বিতীয় দফায় ফের লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
রোববার (৭জুন) বিকেলে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস ফের দু’টি উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেন। আগামী মঙ্গলবার (৯ জুন) ভোর ছয়টা থেকে ১৫ দিনের জন্য ঘোষিত এ লকডাউন কঠিনভাবে বলবৎ থাকবে।
দু’টি উপজেলার অভ্যন্তরে জনসাধারণের আগমন ও বর্হিগমনে নিষেধাজ্ঞা কঠোর করা হয়েছে। একই সঙ্গে এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায়, এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে এবং এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে জনসাধারণের যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেউ আদেশ আমান্য করলে শাস্তির বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। লকডাউন মেনে চলার বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ মাঠে কাজ করবেন।
করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় সভায় বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য, নোয়াখালী-৪ (সদর-সূবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ, পুলিশ সুপার (এসপি) আলমগীর হোসেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শামসুদ্দিন জেহান, কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান, চৌমুহনী ব্যবাসায়ী সমিতির সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ ফয়সাল প্রমূখ
এসময় সেনাবাহিনী, আনসার, পুলিশ ও র্যাবের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ, পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, নোয়াখালী সদর এবং বেগমগঞ্জ উপজেলায় করোনার সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। সদর উপজেলায় ২৩৬ এবং বেগমগঞ্জ উপজেলায় ৪৫৫ জন এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা ১ হাজার ১। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।