
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার দ্বিতীয় দিনে আসামিসহ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যাওয়ায় নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার ওসি আবদুস সামাদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
একই সঙ্গে তার স্থলে ওই থানায় নতুন ওসি নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বুধবার মাদরাসাছাত্র আবুল বাশার ওরফে সাইমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মীর হোসেন ওরফে মীরা ঢাকার কদমতলী থানার মোহাম্মদবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ।
পরে থানার ওসি আবদুস সামাদ আইসোলেশন থেকে বের হয়ে ওই আসামিকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যান। এ সময় ওসিসহ অন্য পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে হত্যাকান্ডের ব্যবহৃত একটি টিপ ছোরা উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় আসামি ছাড়াও একাধিক পুলিশ সদস্য ওসির সংস্পর্শে আসেন।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে উঠে আসলে ওসিকে জেলা কোভিড -১৯ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওসি আব্দুস সামাদ জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে ৯ জুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে গিয়ে পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। পরে ১৫ জুন তার করোনা পজিটিভ আসে এবং থানা ভবনের নিজ কক্ষে আইসোলেশনে চলে যান।
এ বিষয়ে এসপি মো.আলমঙ্গীর হোসেন জানান, ওসি করোনায় আক্রান্ত হয়েও আইসোলেশনে না থেকে বাইরে গিয়ে আসামি নিয়ে অভিযানে গিয়ে অন্যায় করেছেন এবং অন্যদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন। তাই তাকে প্রত্যাহার করে নোয়াখালী কোভিড হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। নতুন ওসি হিসেবে মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।