
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আব্দুর রহিম রবিন (২০) পলাতক রয়েছে।
সোমবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় সুন্দলপুর ৬নং ওয়ার্ড বারিপুকুর পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার বিকেলে ওই ছাত্রীর মা একটি অটোরিকশাযোগে সেনবাগ উপজেলায় তার নানার বাড়িতে যায়। এ সুযোগে পার্শ্ববর্তী বাড়ির সামছু জামান মানিকের বখাটে ছেলে আব্দুর রহিম রবিন ওই ছাত্রীর ঘরে ঢুকে তাদের খাটের নিচে লুকিয়ে পড়ে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাইরের কাজকর্ম শেষ করে ওই স্কুলছাত্রী ঘরে ঢুকলে রবিন তাকে ঝাপটে ধরে মারধর করে তার হাত মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। এসময় তাদের ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় পার্শ্ববর্তী এক গৃহবধূ ঘর থেকে ধস্তাধস্তি ও ভিকটিমের চিৎকার শুনে ঘরে ঢুকলে ধর্ষক রবিন পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন আরো জানায়, ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার সময় প্রায়ই উত্যক্ত করতো বখাটে রবিন। বিভিন্ন সময় তাকে কুপ্রস্তাব দিলেও ছাত্রী রাজি না হওয়ায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে রবিন।
কবিরহাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফজলুল কাদের পাটোয়ারী ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ধর্ষিতা ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রাতেই আব্দুর রহিম রবিনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার সকালে ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।