নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সাঁকো থেকে পড়ে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হওয়া চার বছরের শিশু আল আমিন হোসেনের মরদেহ ১৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সকালে নিখোঁজের পর শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ করে সুবর্ণচর ও মাইজদী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শিশুর মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুবর্ণচর ফায়ার সার্ভিসের সাব অফিসার নূর নবী। আল আমিন হোসেন ওই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী খালের পাশে একটি মাছের ঘের করে আব্দুর রহমান। রোববার সকালে নিজের মাছের ঘেরে কাজ করছিল রহমান। সকাল ১০টার দিকে তার মেয়ে ফারহানা আক্তার রিয়া ও ছেলে আল আমিন হোসেন রহমানের কাজ দেখতে যায়। কিছুক্ষণ পর নাস্তা করতে স্থানীয় দোকানে যায় রহমান। এর মধ্যে বৃষ্টি শুরু হলে আল আমিনকে নিয়ে খালের ওপরে থাকা গাছের সাঁকো পার হয়ে বাড়ি যাচ্ছিল রিয়া। এ সময় পা পিচলে তারা দুইজন খালের পানিতে পড়ে ডুবে যায়। সাঁতার দিয়ে রিয়া পাড়ে উঠে আসতে পারলেও নিখোঁজ হয় আল আমিন।
খবর পেয়ে প্রথমে সুবর্ণচর ও পরে মাইজদী ফায়ার সার্ভিসের সদস্য এবং ডুবরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আল আমিনকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালিয়েও কোনো সন্ধান পায়নি। পরে রাত দেড়টার দিকে ওই খালের ভেতরের একটি ভেয়াল জালের মধ্যে আল আমিনের মরদেহ আটকা পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।
সুবর্ণচর ফায়ার সার্ভিসের সাব অফিসার নূর নবী জানান, নিখোঁজের পর থেকে সুবর্ণচর ও মাইজদী ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও ডুবরি দলের সদস্যরা উদ্ধারের চেষ্টা করছে। রাত ১০টার দিকে উদ্ধার অভিযান শেষ হয়। সোমবার সকালে স্থানীয় চর আমান উল্যাহ ইউপির চেয়ারম্যান রাতে শিশুটিকে পাওয়া গেছে বলে মোবাইলে নিশ্চিত করেছেন।