Select Page

আজ বৃহস্পতিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি সময়: বিকাল ৪:১৭

জীবন বাঁচাতে লোকালয়ে নিঝুমদ্বীপের হরিণ

দৈনিক নোয়াখালীবার্তা
Noakhali Barta is A News Portal of Noakhali.

আগ ২৫, ২০২০ | নোয়াখালী, হাতিয়া

ষ্টাফ রিপোর্টার: কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও অমাবশ্যার অস্বাভাবিক জোয়ারে নোয়াখালীর হাতিয়ার বিচ্ছিন্ন ইউপি নিঝুমদ্বীপ প্লাবিত হয়েছে। পাঁচ ফুটের বেশি পানিতে ডুবে থাকা বনে উঁচু জায়গা না থাকায় ভেসে গেছে অনেক হরিণ। এ কারণে জীবন বাঁচাতে কখনো লোকালয়ে, কখনো সাঁতার কেটে অন্য চরে আশ্রয় নিচ্ছে হরিণগুলো।
জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ৮১ বর্গকিলোমিটারের আয়তনের বিচ্ছিন্ন নিঝুমদ্বীপ আইলা, সিডর, আম্ফানে ক্ষত-বিক্ষত। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে অমাবশ্যা ও পূর্ণিমায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় দ্বীপটি। গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও অমাবশ্যায় পানি বেড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-৬ ফুট উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে মানুষের পাশাপাশি বনের হরিণও বিপাকে পড়েছে।
নিঝুমদ্বীপের বনপ্রহরী বাছির উদ্দিন বলেন, বুধবার থেকে শুরু হওয়া অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ভাসতে ভাসতে হরিণের পাল ছোয়াখালী এলাকা দিয়ে বন্দরটিলা-নামার বাজার প্রধান সড়কে চলে আসে। ওই সময় কুকুর ও শিয়ালের আক্রমণের শিকার হয় অনেক হরিণ। রাতে জোয়ার হলেও একইভাবে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেয়া হরিণের পালকে কুকুর ও শিয়ালের আক্রমণের শিকার হতে হয়।
নিঝুমদ্বীপ জাতীয় উদ্যান রক্ষায় গঠিত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ডা. বেলাল উদ্দিন জানান, নিঝুমদ্বীপে হরিণের জন্য বনের মধ্যে চৌধুরী ক্যাম্প এলাকায় ১৯৮২ সালে একটি মাটির কিল্লা তৈরি করা হয়। বিভিন্ন সময়ের প্লাবনে এখন তা অনেকটা সমতলে মিশে গেছে। এটি এখন আর হরিণের আশ্রয়ে কাজে আসে না। বর্তমানে বনের মধ্যে বনবিভাগের তৈরি কয়েকটি পুকুর ও পুকুরের পাড় ছাড়া অস্বাভাবিক জোয়ারে আশ্রয় নেয়ার মতো কিছুই নেই।
নিঝুমদ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রফিকুল আলম বলেন, ২০১২ সালে বেসরকারি কয়েকটি এনজিওকে নিয়ে নিঝুমদ্বীপে হরিণের একটি জড়িপ করা হয়। আমরা এ দ্বীপের হরিণকে বাঁচাতে চারটি বিষয়ে কাজ করার জন্য সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে জমা দেই। বিষয়গুলো হলো- উঁচু জায়গা নির্মাণ, কুকুর নিধন, সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও বনের নিরাপত্তা বেস্টনি তৈরি।
নিঝুমদ্বীপের বন বিট কর্মকর্তা নূরে আলম হাফিজ জানান, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবারের অমাবশ্যায় অস্বাভাবিক জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এতে বেড়িবাঁধ না থাকায় লোকালয়ে চলে এসেছে হরিণের দল। জোয়ার অব্যাহত থাকলে নিঝুমদ্বীপের প্রধান আকর্ষণ হরিণ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
নিঝুমদ্বীপের ইউপি চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন জানান,নিঝুমদ্বীপের হরিণ বাঁচাতে বেড়িবাঁধ এবং উঁচু নিরাপত্তা বেষ্টনীর বিকল্প নেই। বেড়িবাঁধ নিয়ে বারবার উপজেলা সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে। এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

Facebook Comments Box

সর্বশেষ সংবাদ

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০