ষ্টাফ রিপোর্টার: নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্য রয়েছেন।
সালিশের মাধ্যমে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া ও ভুক্তভোগী নারীকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে আটক ব্যক্তিদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে ওই গৃহবধূ (৩২) বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আবু বক্কর ছিদ্দিক এবং একই ইউনিয়নের বাসিন্দা মাসুদ, ইয়াছিন, আব্দুল হক মাস্টার ও ওবায়দুল হক।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, গত সাত-আটদিন আগে ওই গৃহবধূ পারিবারিক কলহের জের ধরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় তার বাবার বাড়ি চলে যান। পরে ৫ সেপ্টেম্বর তার স্বামীর বন্ধু দিদারকে বিষয়টি জানাতে ফেনীতে যান তিনি। দিদার রাতে তাকে সেনবাগে স্বামীর বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে জোর করে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যান। পরে সেখানে দিদারসহ চারজন তাকে ধর্ষণ করেন।
ওসি আরো জানান, ভুক্তভোগী গৃহবধূ বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য ছিদ্দিককে জানালে তিনি সালিশ ডেকে উল্টো ওই নারীকে চরিত্রহীন আখ্যা দেন এবং দলবল নিয়ে তাকে মারধর করে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন। পরে বৃহস্পতিবার রাতে ওই গৃহবধূ সেনবাগ থানায় চার ধর্ষক ও সালিশে নির্যাতনকারী সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ রাতেই ইউপি সদস্যসহ পাঁচ আসামিকে আটক করে। পরদিন তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। অভিযুক্ত বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।