Select Page

আজ বৃহস্পতিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি সময়: দুপুর ২:৩৯

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত হাতিয়ার বেড়িবাঁধ এখনো সংস্কার হয়নি

দৈনিক নোয়াখালীবার্তা
Noakhali Barta is A News Portal of Noakhali.

সেপ্টে ১৮, ২০২০ | নোয়াখালী, হাতিয়া

ষ্টাফ রিপোর্টার:ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে ভেঙ্গে যাওয়া নোয়াখালীর হাতিয়ার বেড়িবাঁধ এখনো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। প্রতিনিয়ত জোয়ারের পানি ঢুকে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি, ভেসে যাচ্ছে পুকুরের মাছ ও ভেঙ্গে যাচ্ছে বাসস্থান। ইতোমধ্যে এলাকা ছেড়ে চলে গেছে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকশ পরিবার। পূর্ণিমার জোয়ার ও এখনো ভরা বর্ষার কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন নদী পাড়ে বসবাস করা হাজারো মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালী সুত্রে জানা যায়, জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে চরঈশ্বর, নলচিরা, সূখচর, সোনাদিয়া, নিঝুমদ্বীপ তমরদ্দি, হরনী ও চানন্দী ইউনিয়ন এলাকায় কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে এসব এলাকায় বসবাস করা প্রায় ৫০ হাজার মানুষ হুমকির মুখে পড়েছে। জোয়ার, নোনা পানি, জলোচ্ছ্বাস আর আসন্ন আমবশ্যার বিপদের আশংকায় ভাঙ্গন এলাকা ছেড়ে চলে গেছে কয়েকশ পরিবার। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সূখচর ইউনিয়নে। এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজারের উত্তর পাশে প্রায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ একেবারেই নেই।
সূখচরের চর আমান উল্যা গ্রামের বৃদ্ধ অলি আহম্মদসহ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আম্পানে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে অনেক মানুষের ঘরবাড়ি ভেসে যাছে। নদীর তীরে বসবাস করা অনেকে বাসস্থান অন্যত্র নিয়ে গেছে বলে জানান তারা। যারা এখনো বেড়ির ভেতরে বসবাস করছে তারা ও আছে আতঙ্কে । কারণ আমবশ্যার জলোচ্ছ্বাসের জোয়ারে ফের প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
সূখচর ইউনিয়নের খবির উদ্দিন চৌকিদার জানান, প্রতিনিয়ত জোয়ারের সঙ্গে নোনা পানি ঢুকে নষ্ট করছে ফসলি জমি, শাক-সবজি, পুকুরের মাছ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন ধান।
সূখচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন জানান, প্রতি বছর বর্ষার পূর্বে বেড়িবাঁধ মেরামত করা হয়। কিন্তু এবার তা করা হয়নি। এতে গত বছর বর্ষা মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ আম্পানরে আঘাতে সহজে ভেঙ্গে বিশাল এলাকা প্লাবিত হয়। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোন ফলাফল পায়নি। জরুরি ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ সংস্কার করার দাবি জানান তিনি।
এব্যাপারে নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুরুল আলম জানান, আমরা প্রতিবছর জেলার বিভিন্ন বেড়িবাঁধ মেরামত ও নতুন বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য চাহিদা পাঠাই প্রায় ২০ কোটি টাকা। কিন্তু বরাদ্দ পাই দুই থেকে তিন কোটি টাকা। অর্থ সংকটের কারণে অনেক জায়গায় জরুরি ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার প্রয়োজন হলে তা করতে পারছি না। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এখন পযন্ত কোন বরাদ্দ পায়নি।
হাতিয়ার সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস বলেন, তিনি বেড়িবাঁধ প্রকল্পের টাকা বরাদ্দের জন্য সংসদে দাবি করেছেন এবং মন্ত্রণালয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অচিরেই হাতিয়ার বেড়িবাঁধ সংস্কার হবে বলে তিনি আশাবাদি।

Facebook Comments Box

সর্বশেষ সংবাদ

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০