ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ভিটা-মাটি হীন জীবনের অবসান ঘটতে যাচ্ছে নোয়াখালীর নয়টি উপজেলার ৯৪২টি পরিবারের। ‘স্বপ্নের ঘরে’ স্বস্তির জীবনের অপেক্ষায় রয়েছে পরিবারগুলোর সদস্যরা। আশ্রয়হীন পরিবারকে পুর্নবাসন প্রকল্পের আওতায় জেলায় সরকারিভাবে ৮৫৫টি এবং বেসরকারি উদ্যোগে ৮৭টি পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। শুধু ঘর নয়, ‘ক’ শ্রেণীর উপকারভোগী পরিবারগুলোকে দেওয়া হবে জমির কবুলিয়ত, খতিয়ান ও সনদপত্রসহ ফোল্ডার।
আগামী ২৩ জানুয়ারী জেলার নয়টি উপজেলার ১৫০টি এবং ১৭ মার্চ ৭০৫টি পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে সরকারিভাবে নির্মিত একক গৃহ। এর বাহিরে জেলার সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও মানবিক ব্যক্তিদের সহযোগিতায় বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত ৮৭টি পরিবারকেও দেওয়া হবে তাদের স্বপ্নের ঘর। এছাড়া জেলার হাতিয়া উপজেলার মান্নান নগর আশ্রায়ণ প্রকল্পে ১৮৯টি ব্যারাকে ৯৪৫টি পরিবারকে পুনর্বাসনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এ ঘরগুলো পাবে গৃহহীনরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম খান প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানান।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আবু ইউসুফসহ জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা জানান, গৃহহীনদের জন্য তাঁর উপজেলায় সরকারিভাবে ২৭টি এবং বেসরকারি উদ্যোগে ৭টি ঘর নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরমধ্যে ২৩ জানুয়ারি সরকারি ১৫টি ও বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত ৫টি ঘর স্বপ্নসারথী গৃহহীনদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম খান জানান, প্রথম দফায় আগামী ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে জেলায় ১৫০টি ঘর হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া ওইদিন হাতিয়ার মন্নান নগরে ৯৪৫ পরিবারের জন্য নির্মিত একটি বড় আশ্রয়ণ প্রকল্পও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবশিষ্ট আরও ৭০৫টি ঘর ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি জানান, ঘরগুলো নির্মাণে যাতে করে কোনো প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি না হয়, সে জন্য প্রত্যেক উপজেলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ তদারকি করছেন।