নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী ফৌজিয়া মোসলেম সিলভির স্মরণে এক মানববন্ধন গত ২৩ নভেম্বর ২০১৭ সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় গেইটস্থ সম্মুখ রাস্তায় অনুষ্ঠিত হয়। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) নোয়খালী জেলা শাখার উদ্যোগে এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) এর সহযোগীতায় মানববন্ধনে নোবিপ্রবি পরিবারের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ নিচসা’র সদস্যবৃন্দ ও এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন। ‘নিচসা’র পক্ষ থেকে সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন লিফলেট বিতরণ করা হয়। এসময় অংশগ্রহণকারীরা ‘পথ যেন হয় শান্তির, মৃত্যুর নয়’ স্লোগান সম্মৃদ্ধ ফেস্টুন প্রদর্শন করেন।
মানববন্ধনে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান। তিনি নিরাপদ সড়কের দাবিতে মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের, স্থানীয় সাংসদ এবং নোবিপ্রবি রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য জনাব একরামুল করিম চৌধুরি সহ স্থানীয় প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আহŸান জানান। এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ হাজার শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের যাতায়তের সড়কের প্রকল্পের কাজ দ্রæত বাস্তবায়নের আহŸান জানান। এসময় নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবুল হোসেন, রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. মমিনুল হক উপস্থিত ছিলেন। শেষে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আরো বক্তৃতা করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোহাম্মদ ইউছুফ মিঞা, সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন, আইআইএস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, ফার্মেসি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সেলিম হোসেন, প্রক্টর মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান, নিসচা’র জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন এবং নোবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি তারেক মো. রাশেদ উদ্দিন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থী ফৌজিয়া মোসলেম সিলভি (২১) মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় গত ১৯ নভেম্বর মারা যান। সিলভি মাইজদি কোর্টস্থ সদর উপজেলার পশ্চিম শাহপুরের বাসিন্দা ছিলেন। মেধাবী সিলভি ফার্মেসি বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ৮ম ব্যাচের ছাত্রী। চার বছরের স্নাতকে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিভাগে প্রথম হয়েছিলেন।