ষ্টাফ রিপোর্টার : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বসত ঘরে ঢুুুকে মো. ওমর ফারুক (২৭) নামের এক যুবককে গুলি করেছে সন্ত্রাসীরা। একই সময় সন্ত্রাসীরা বসত বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুুর চালায়। এতে আতংকিত হয়ে ওমর ফারুকের দাদি মজিবা খাতুন (৭২) স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দেবকালা গ্রামের আবদুল মুন্সী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ ফারুক উপজেলার দেবকালা গ্রামের খুরশিদ আলমের ছেলে।
উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কামরুল হুদা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান ফারুককে গুলি করার পরপরই রাতে তার দাদি মজিবা খাতুন স্ট্রোক করে মারা গেছে। মজিবা খাতুন ওই বাড়ীর শরিয়ত উল্যার স্ত্রী।
গুলিবিদ্ধ ওমর ফারুকের চাচা মাহবুব আলম জানান, উপজেলার মহিব উল্যা গ্রামের জাফর উল্যার ছেলে সন্ত্রাসী কালা বাবুর নামে দেবকলা গ্রামের আবদুল মুন্সী বাড়ীর তার (মাহবুব আলমের) ভাতিজা ফারুক গত বছর একটি মামলা করেন। পরে সন্ত্রাসী কালা বাবু বিভিন্ন সময় ওই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ফারুকে হুমকি ধামকি ও চাপ প্রয়োগ করে আসছে।
মঙ্গলবার পাশ্ববর্তী ভূঁইয়ালী বাড়ির বড়ই গাছ থেকে আবদুল মুন্সী বাড়ির একটি ছেলে বড়ই (কুল) পাড়ে। এনিয়ে ভূঁইয়ালী বাড়িরলোকজন ঝগড়ার জের ধরে সন্ত্রাসী কালা বাবুকে খবর দেয়। রাত ৯টার দিকে পূর্ব শক্রতা এবং ভূঁইয়ালী বাড়ির পক্ষ নিয়ে ১০/১৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মুন্সি বাড়ির ওমর ফারুকের উপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং ফারুককে বুকের বাম পাশে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনার পরপরই আতংকে হার্ট এ্যাটক করে মুন্সী বাড়ির কালা মিয়ার স্ত্রী ঘটনাস্থলে মারা যান। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফারককে উদ্ধার করে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি কার হয়। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন মাহবুব আলম।
বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
- নোয়াখালী
-
Featured
নোয়াখালীর ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের জন্য রেড ক্রিসেন্টের বিশেষ পরিকল্পনা
-
Featured
বেড়িবাঁধহীন অরক্ষিত চরগাসিয়া, ঝুঁকিতে ১৭ হাজার মানুষ
-
Featured
বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক জিয়া আবার ও মানুষ হত্যা করবে -এমপি একরাম
-
